ঢাকা অফিস: চলতি বছর জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্সের পর রফতানি আয়েও রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মোট রফতানি মূল্য জানুয়ারিতে ৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি সাত মাসে রফতানি ছিলো ৩২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত সাত মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ইপিবি আরো জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি করা হয়েছে। এ সময় রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭২৪ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিলো পাঁচ হাজার ১৩৬ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে জানুয়ারি মাসে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। এ মাসে বাংলাদেশের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিলো পাঁচ হাজার ৭৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা থেকে শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ কম রফতানি আয় হয়েছে।
এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৩৬৩ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলারে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ কম।
বেনাপোল স্থলবন্দরে চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৩২৮ কোটি টাকা
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে নিটওয়্যার রফতানি থেকে ১৬ হাজার ১৭৯ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে, যা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ওভেন পোশাক রফতানি থেকে এসেছে ১২ হাজার ১৮৩ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমেছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৩৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলারে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম।
এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬২৮ দশমিক ০৬ মিলিয়ন ডলারে যা গত অর্থবছরে জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে ছিলো ৭৩৩ দশমিক ০৯ মিলিয়ন ডলার। তবে জুলাই থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭২ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে প্রবাসীরা জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। গত সাত মাসের মধ্যে যা ছিলো সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় এ অর্থ ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। তবে গত ২০২৩ সালের জুনে দেশে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সে এসেছে।
স্বাআলো/এস
