বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আইন উপদেষ্টা বলেন, “আজকের (১০ মে) বৈঠকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন অনুমোদিত হয়েছে, যার ফলে ট্রাইব্যুনাল এখন রাজনৈতিক দল, তাদের অঙ্গ সংগঠন কিংবা সমর্থকদের বিচারের আওতায় আনতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম, অনলাইন এবং অফলাইনে, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সরকারি পরিপত্র আগামী কর্মদিবসে প্রকাশ করা হবে।”

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ” হিসেবে যাত্রা শুরু করে দলটি। এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শামসুল হক।

১৯৭১ সালে দলটি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয় এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সরকার গঠন করে। এরপর ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।

দলটির বিরুদ্ধে বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচার চলছে।