যশোরের বেনাপোলে মাদকদ্রব্য বেচা-কেনার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ইজিবাইক চালক সজীব গাজীকে খুন করা হয়েছে। গাঁজা সেবনের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ১৮ অক্টোবর গ্রেফতারকৃত চারজনের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করলেও ফল কিন্তু সন্তোষজনক নয়। কোনো কিছুতেই মাদক ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যবসাকে ডেডস্টপ করতে হবে। এদের যদি দমন করা যেত তা হলে এতদূর এগোতে পারতো না। বিকশিত হবার আগেই হারিয়ে যায়, কত উদীয়মান প্রতিভা। বিধবা হয় কত নারী, কত শিশু এতিম হয়।
মাদকাসক্তরা পরিবার সমাজে অস্বাভাবিক জীবনযাপনের শিকার হয়।
মাদককে জাতীয় জীবনের অন্যতম সমস্যা। কিন্তু মাদক ব্যবসা থেমে নেই । মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও পুলিশ বিভাগকে এর বিরুদ্ধে কঠোর ভূকিকা নিতেও দেখা যাচ্চে, কিন্তু তারপরও কেনো এ অবস্থা তা ভাববার বিষয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাদক ধরছে, ধ্বংস করছে, বহনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবু এ মাদকটির স্রোত থামছে না।
দেশের প্রাণশক্তি যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মাদককে যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।
মাদক রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, যারা মাদক ব্যবসা ছাড়বেন না তাদের ভয়াবহ বিপদে পড়তে হবে। আর মাদক ব্যবসা ছাড়লে সরকার সহযোগীতা করবে। বাংলাদেশকে উন্নত ও উচ্চ আয়োর দেশে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। তাই কর্মক্ষম যুবশক্তিকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হবে।