রংপুরে ২২ মামলায় আসামি ১০ হাজার

| August 1, 2024

রংপুর ব্যুরো: কোটা সংস্কার ইস্যুকে কেন্দ্র করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর ভর করে রংপুরে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও শিবিবের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় রংপুরে সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রংপুর মেট্রোপলিন কোতোয়ালী ও তাজহাটসহ বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা দায়ের হয়েছে।

অধিকাংশ মামলায় পুলিশ বাদি হলেও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও বাদি রয়েছেন কয়েকটি মামলায়। এসব মামলায় এক হাজার ৬০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার জনকে। এসব মামলায় ইতোমধ্যেই আড়াই শতাধিক আসামিকে গ্রেফতার করে রংপুর মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশ।

তবে এসব মামলায় কোনো নিরপরাধ সাধারণ মানুষ যেনো হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

সাংগঠনিক দুর্বলতায় ক্ষুদ্ধ রংপুর আ.লীগের নেতাকর্মীরা

পুুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, কোটা সংস্কার ইস্যূতে কেন্দ্র করে রংপুর জুড়ে তাণ্ডবলীলা চালায় বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরসহ তাদের লোকজন। এতে রংপুর মেট্রোপলিটনের উপ কমিশনারের কার্যালয়, তাজহাট থানা, নবাবগঞ্জ ও ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি, আদালত চত্বর, জেলা পুলিশ লাইন্স, বিভাগীয় ও জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস, জেলা মৎস্য অফিস, সমবায় ব্যাংক ও শপিং কমপ্লেক্স, সিটি কর্পোরেশন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নগরীর ২৪নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটনায় দুর্বৃত্তরা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসব ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালী থানায় ১৮টি ও তাজহাট মেট্রোপলিটন থানায় চারটি মামলা দায়ের হয়েছে।

রংপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উদযাপিত

এসব মামলায় রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলার আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা কমিটির আহবায়ক আল ইমরান সুজন, সদস্য সচিব জাকারিয়া ইসলাম জিম, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইমরান খান সুজন, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবি, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহির আলম নয়ন, সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলার সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, রংপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির সভাপতি মাসুদ নবী মুন্না, মহানগর যুবসংহতির আহবায়ক ইউসুফ আহমেদ, সাবেক সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির, জেলা ছাত্রসমাজের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন সুমন, মহানগর ছাত্রসমাজের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, জামায়াতের জেলার সহকারি আমির আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মহানগরীর সচিব আব্দুর রউফসহ বিএনপি, জামায়াত, শিবির, জাতীয় পার্টি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের এক হাজার ৬০০ জনের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে।

এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো প্রায় ১০ হাজারজনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় বুধবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত রংপুর মহানগরী ও জেলায় প্রায় আড়াই শতাধিক লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চিহ্নিত অপরাধীদের ফুটেজ দেখে দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নিরপরাধ কাউকেই হয়রানি কিংবা গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

স্বাআলো/এস