১৫ লাখের ছাগলটি কেনা হয় যশোর থেকে! দাম এক লাখ

ঢাকা অফিস: ছাগলকাণ্ডে সমালোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে দিনভর উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং ও নবীনগর হাউজিংয়ে অবস্থিত দেশজুড়ে আলোচিত এই এগ্রোর দুই স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ।

এবার ঈদুল আজহায় ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগলের মাধ্যমে ভাইরাল হন ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন।

‘ছাগলকাণ্ড’: মতিউরের দায়িত্বে সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস

একই সঙ্গে আলোচনায় আসেন সদ্য ওএসডিতে যাওয়া রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হয়, ওই ছাগলটি বিদেশি প্রজাতির, এটি ১৫ লাখ টাকায় ক্রয় করেছেন ইফাত। এর মধ্যে এক লাখ টাকা বায়না দিয়েছেন।যদিও ঈদের পর সাদিক এগ্রোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বায়না দিয়েও ছাগল নেননি ইফাত।

জানা গেছে, ছাগলকাণ্ডের সেই ১৫ লাখ টাকার ছাগল নিয়ে দেশব্যাপী তুলকালাম হয়ে গেলেও আলোচিত সেই ছাগলটি দেশীয় জাতের।

দেশ ছেড়েছে ছাগলকাণ্ডের মতিউর

সাদিক এগ্রোর কর্মচারিরা জানিয়েছেন, ওই ছাগলটি যশোরের একটি বাজার থেকে মাস দুয়েক আগে এক লাখ টাকায় আনা হয়। তবে ঈদ সামনে রেখে সেটি বিদেশি ব্রিটল জাতের ছাগল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেন ইমরান হোসেন। এরপর এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৫ লাখ টাকা, যেটি ক্রয় করেন আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউরপুত্র মুশফিকুর রহমান ইফাত।

সাদেক এগ্রোর ইনচার্জ শরীফও যশোর থেকে ছাগল আনার এ তথ্য গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন বলেন, এই জমির মালিক আমি নই। আমি এই জায়গার একজন ভাড়াটিয়া। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আমার কিছু যায় আসে না। আমি অন্য জায়গায় চলে যাবো।

স্বাআলো/এস