বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৮ জেলায় ৮৮ জন নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ছয়জন, ফেনীতে আটজন, লক্ষ্মীপুরে আটজন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন, কিশোরগঞ্জে চারজন, রাজধানী ঢাকায় চারজন, বগুড়ায় পাঁচজন, মুন্সিগঞ্জে তিনজন, মাগুরায় চারজন, ভোলায় তিনজন, রংপুরে চারজন, পাবনায় তিনজন, সিলেটে চারজন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ তিনজন, শেরপুরে দুইজন, জয়পুরহাটে একজন, হবিগঞ্জে একজন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে একজন, সাভারে একজন ও বরিশালে একজন নিহত হয়েছেন।
মাগুরা: মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাব্বী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলায় চারজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (৪ আগস্ট) শহরের পারনানন্দুয়ালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাব্বী নিহতের বিষয়ে জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় সাতজন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (৪ আগস্ট) মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট ও কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ওই এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল।
রংপুর: রংপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর পায়রা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মাসুম, খায়রুল ইসলাম খসরু ও পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রসিকের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে শহরজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দুপক্ষই অবস্থান নেয়।
পাবনা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে পাবনায় গুলিতে তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৪ আগস্ট) শহরের এ হামিদ রোডের ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলো, মহিবুল (১৬), জাহিদ (১৯) ও ফাহিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা শহরের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। তাদের সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীরা সদর হাসপাতাল সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে শহরের সব রুট দখলে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারী ছাত্ররা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শহরের এসএস রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, যুবদল নেতা রন্জু (৪০), ছাত্রদল নেতা সুমন (৩০) ও যুবদল কর্মী আব্দুল লতিব (৪২)।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক, রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে। তার পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটলে পুরো শহর দখল করে নেয় আন্দোলনকারী ছাত্র ও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ড. জান্নাত আরা হেনরীর বাসা, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, সাবেক এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাসা, আওয়ামী নেতা বিমল কুমার দাসের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ ছাড়া জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এদিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চয়ন ইসলাম এমপির বাসা ভাঙচুর করা হয়। বেলকুচি ও উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রতন কুমার জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা তিনজন নিহতের খবর শুনেছি। কিন্তু নিশ্চিত হতে পারিনি।
বরিশাল: বরিশালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়িতে হামলার সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের হামলায় মহানগর ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি টুটুল চৌধুরী নিহত হয়েছেন। পরে আন্দোলকারী প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাড়ির সামনে ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে।
ভোলা: ভোলার নতুন বাজারে আইনশৃঙ্খলনা রক্ষাকারী বাহিনী গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জসিম উদ্দিন (৭০) নামে একজন ছাতা শ্রমিকের পরিচয় জানা গেলেও দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছর বলে জানা গেছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এসময় আন্দোলনকারীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে আন্দোলনকারীরা আ.লীগ অফিস, শ্রমিক লীগ অফিস ও পৌরসভা ভাঙচুর চালিয়ে দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় ডিসি অফিসের দুটি গাড়িতেও আগুন দেয় তারা।
বগুড়া: বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
রবিবার (৪ আগস্ট) বগুড়ার সাতমাথায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসময় বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর ভূমি অফিস ও আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আন্দোলনকারী এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর্যুপরি ককটেল বিস্ফোরণ এবং পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথা এলাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পরে পুরো শহর।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযাগ আন্দোলনের প্রথম দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে মেহেদী হাসান নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের জয়পুরহাট ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল থেকে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে থাকা সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাজা চৌধুরী, মীর মোয়াজ্জেম, মাহমুদ হোসেন হিমু, অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফেনী: ফেনীতে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে পাঁচ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী মহিপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম টিটুর বাসার আগুন নেভানোর সময় দুইজন কেয়ারটেকার ও স্ট্রোক করে একজন ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
দেবিদ্বার (কুমিল্লা): কুমিল্লার দেবিদ্বারে দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় দেবিদ্বার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন।
নিহত যুবকের নাম আব্দুর রাজ্জাক রুবেল (৩৩)। তিনি দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
রুবেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান।
তিনি বলেন, রুবেলের মরদেহ শনিবার দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দেবিদ্বার নিউ মার্কেট স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থা নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। স্বাধীনতা চত্বর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন রুবেল।
নরসিংদী: অসহযাগ আন্দোলনের প্রথম দিনে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আন্দোলনকারীদের চারজন।
মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- চরদিগলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৪০), নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৩৮), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শ্রমিকলীগ নেতা মনিরুজ্জামান ভূইয়া ওরফে নাতি মনির (৪২), শ্রমিকলীগ নেতা আনিছুর রহমান সোহেল (৪০), মাধবদী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নওশের (৪০) ও অজ্ঞাত (৩৮)।
সিলেট: সিলেটের গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ধারাবহর হাসপাতালের সামনের দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষে পুলিশ বিজিবি ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ ৫০ জন আহত হন। এ ছাড়া কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রবিবার (৪ আগস্ট) গোলাপগঞ্জের ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ২ জন হলেন ব্যবসায়ী বারকোট গ্রামের মরহুম মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজউদ্দিন (৪৩) ও উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮)।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত তাজ উদ্দিনের আত্মীয় জাবেদ মাহমুদ।
লক্ষীপুর: লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে । এতে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া শতাধিক আহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনেকেই মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রবিবার (৪ আগস্ট) শহরের ঝুমুর ও মাদাম ব্রিজ এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কাউসার, আদনান, সাব্বীর ও মিরাজ।
লক্সীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরুপ পাল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে রিপন শীল নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৪ আগস্ট) সদর উপজেলার টাউন হল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর: শেরপুরে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় গাড়িচাপায় দুই আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজনের নাম মাহবুবুল ইসলাম (২২), তিনি আইটি উদ্যোক্তা ছিলেন। অপর জনের নাম জানা যায়নি।
রবিবার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত আরএমও ডা. হুমায়ূন আহমেদ নূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাভার: ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ আরো দুইজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (৪ আগস্ট) মরদেহটি ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। নিহতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। গুলিবিদ্ধ অপরজ হলেন বাইপাইল এলাকার পানি বিক্রেতা বিপ্লব (৪০)।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দুপুরের পর ৪-৫ জন তরুণ আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক তরুণের মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসে। মরদেহটি হাসপাতালে রেখে তারা চলে যায়।
আহত বিপ্লব বলেন, আমি রাস্তার পাশে পানি বিক্রি করছিলাম। তখনই আমার বুকে গুলি লাগে।
স্বাআলো/এস