সম্পাদকীয়

পাখি শিকারের নিষ্ঠুরতম পদ্ধতি অবলম্বনকারীদের শাস্তি চাই

| April 7, 2024

সম্পাদকীয়: শরু সূতা দিয়ে ঘুঘু পাখির দুইচোখ শেলাই করে আটা দিয়ে আটকিয়ে অন্ধ করে পাখি শিকারের ফাঁদে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই পাখি দেখে আরো পাখি এসে ফাঁদে আটকা পড়ছে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বকুলতলা গ্রামে এই নিষ্ঠুরতম পদ্ধতিতে পাখি শিকার করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি সংবেদনশীল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

যারা এই পদ্ধতিতে পাখি শিকার করে তারা নিশ্চয় পাপিষ্ঠ। ইসলাম ধর্মসহ সব ধর্মে জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শনের কথা গুরুত্বের সাথে বলা হয়েছে। ক্ষুধার্ত মানুষকে খাদ্য দিলে যেমন সওয়াব হয়, তেমনি অন্যান্য প্রাণিকেও খাদ্য ও পানি দিলে সওয়াব হয়। সনাতন ধর্মে বলা হয়েছে জীবে দয়া করেছি যেজন সেজন সেবিছে ঈশ্বর। জীবিত ঘুঘু অন্ধ করে পাখি শিকারের পদ্ধতি বের করার ঘটনাটিও পাপ কাজ। এই পদ্ধতি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। যারা প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা প্রাণিকুল ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে।

অসাধু ব্যক্তিরা নির্বিচারে হত্যা করছে পাখি। জীবন্ত প্রাণি অন্ধ করে ফাঁদ পেতে শিকার করা হচ্ছে পাখি। পাখি নিধনের ফলে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্যও।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাখিরা শুধু পরিবেশের ভারসাম্যই রক্ষা করে না, এরা বীজের বিস্তরণ ও পরাগায়ন ঘটিয়ে ফসল উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এসব বিষয়ে অবগত নয় মানুষ। তাই অতিথি পাখিরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কথা গুরুত্ব ও প্রয়োজন সে সম্পর্কে মানুষকে বোঝাতে হবে। কেউ আইন অমান্য করে পাখি শিকার করলে তার জেল-জরিমানা হতে পারে। আইনটি সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে। আইন অমান্য করলে যে শাস্তি পেতে হবে সেটা প্রচার করতে হবে।

স্বাআলো/এস

Debu Mallick