খুলনা বিভাগ

শামসুল হকের খুনিদের শনাক্ত না হওয়ায় বাদীর সংশয়

| July 29, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেড় মাসেও ঝিনাইদহের শামসুল হত্যার কারণ উদঘাটন ও খুনিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি তার কাছে থাকা অর্ধ লাখ টাকার কোনো সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে দীর্ঘদিন পার হলেও হত্যার কারণ উদঘাটন, খুনিদের শনাক্ত এবং তার কাছ থেকে অর্ধ লাখ টাকা নেয়া চক্রটির সন্ধান না পাওয়ায় মামলাটি ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বাদী ও তার পরিবার।

উল্লেখ্য গত ৯ জুন যশোরের মণিরামপুর থেকে বাসে করে যাওয়ার সময় অজ্ঞান পার্টির দেয়া চেতনানাশকে চৌগাছা হাসপাতালে মৃত্যু হয় শামসুল হকের।

মামলার বাদী নিহতের ছেলে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মকরধ্বজপুর গ্রামের লিটন মিয়া জানিয়েছেন, তার পিতা একজন কৃষক এবং কাঁচা মালের ব্যবসায়ী ছিলেন। সে কারণে ক্রয় করা এবং নিজেস্ব ক্ষেতে চাষ করা বিভিন্ন ধরনের তরকারী পণ্য নিয়ে বিভিন্ন বাজারে পাইকারী বিক্রয় করতেন। তারই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ৭ জুন বিকেল ৫টার দিকে অজ্ঞাতনামা একটি নসিমনে করে নিজস্ব ক্ষেতের ৪০ মন বাঁধা কপি বিক্রির জন্য যশোরের মণিরামপুর উপজেলা বাজারে যান। সেখানে একটি আড়তে ওই কপি দিয়ে যেকোনো স্থানে দুইদিন অবস্থান করেন। ৯ জুন বিক্রি করা কপির ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মণিরামপুর থেকে বাসে চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেন। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে যশোরের পালবাড়ি এলাকা থেকে একটি বাসে চৌগাছা হয়ে বাড়িতে আসবেন বলে রওনা করেন। দুপুর ১টার দিকে বাসটি চৌগাছা পুড়াপাড়া গিয়ে থামে। সেখানে সকল যাত্রী নেমে গেলেও গাড়িতে অচেতন অবস্থায় শামসুল হক পড়ে থাকেন।

এ সময় ওই বাসটিতে থাকা অজ্ঞাতনামা চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার বাস থেকে শামসুল হককে নামিয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরই মধ্যে শামসুল হকের কাছে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে তার বাড়িতে সংবাদ দেয় বাসটির লোকজন। পরে বাড়ি থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১০ জুন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

এই ঘটনায় নিহতের ছেলে লিটন মিয়া বাদী হয়ে ১০ জুন চৌগাছা থানায় মামলা করেন।

বাদী লিটন মিয়া আরো বলেছেন, দীর্ঘদিন পার হলেও হত্যার কারণ উদঘাটন, খুনিদের শনাক্ত এবং তার কাছ থেকে অর্ধ লাখ টাকা নেয়া চক্রটির সন্ধান না পাওয়ায় মামলাটি ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বাদী ও তার পরিবার।

স্বাআলো/এস

Debu Mallick