দেশব্যাপী আলোচিত মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নবম দিনে আদালতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক দুই চিকিৎসক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব সমাপ্ত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বুধবার (৭ মে) নবম দিনে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এম জাহিদ হাসান এ দুই চিকিৎকের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বুধবার এ মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামীকে সকালে কড়া পুলিশি প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে হাজির হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের দুই চিকিৎসক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাক্তার মমতাজ আরা ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাক্তার দেবিকা রায় উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আগামীকাল ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামীদের পরীক্ষা করা হবে। তিনি আশা করেনে সাক্ষ্য ও অন্যান্য প্রমানাদির ভিত্তিতে এ মামলায় আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা দিবেন আদালত।
মাগুরায় ট্রলিচাপায় শিশুর মৃত্যু
প্রসঙ্গত, ১ মার্চ শনিবার মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ৬ মার্চ সকালে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। এ ঘটনার পর মাগুরাসহ সারাদেশে ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গত ৮ মার্চ ৪ জনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা আয়শা আক্তার। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। পরে উন্নত চিকিৎসার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সর্বশেষ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়।
এ ঘটনার পর পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখ ১৫ মার্চ শনিবার মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দেয়।
যেখানে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়। পরবর্তিতে গত ১৩ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্ত ৪ আসামী আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোন জামাই সজিব শেখ ও সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়া গত ২৩ এপ্রিল এ মামলার চার্জ গঠন করেন আদালত। গত ২৭ এপ্রিল বাদীসহ ৩ জনের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে সাক্ষীর কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বাআলো/এস