শিক্ষা

বাড়ছে করোনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা

ঢাকা অফিস ঢাকা অফিস | June 10, 2025

দেশে আবারো করোনাভাইরাসের নতুন প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় এবং আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি স্বাস্থ্য নির্দেশনা জারি করেছে।

মূলত ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরকার ইতিমধ্যেই মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।

মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সোমবার (৯ জুন) রাতে তার ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, করোনার নতুন উপধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। একইসঙ্গে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব বিষয় মানার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো উল্লেখ করেছেন।

ভয়ংকর রূপে ফিরেছে করোনা, ভারত ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা

মাউশির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে:

১. করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া।
২. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরা।
৩. কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি আশপাশে থাকলে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
৪. অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা।

সম্প্রতি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মূল নির্দেশনায় দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।

দেশে আবারো করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত ৩

একইসঙ্গে, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার পাশাপাশি করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরিস্থিতি গুরুতর হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছে এবং প্রয়োজনে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান। নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo