নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলায় ৬৫২টি মন্দিরে শারদীয়া দূর্গাপূজা হবে। দুর্গাপূজাকে দুর্গা উৎসবে পরিণত করার লক্ষ্যে সম্প্রীতির শোভাযাত্রা বের হয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে শহরের লালদিঘীর পাড়ে হরিসভা মন্দিরের সামনে থেকে সম্প্রীতির শোভাযাত্রা বের হয়।
সম্প্রীতির শোভাযাত্রায় অংশ নেন যশোর জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, যশোর জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দৌল্লা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোর্ত্তজা ছোট, বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. এ্যাঞ্জেলা গমেজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ ও যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু প্রমুখ।
তার আগে সকালে পূজা উদযাপন পরিষদের অফিসে সংবাদ সম্মেলন থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষ জানান, যশোরে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে শারদীয়া দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে। জেলায় ৬৫২টি মন্দিরে পূজা হবে।
তার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৭, শার্শায় ২৮, ঝিকরগাছায় ৪৮, চৌগাছায় ৩৬, কেশবপুরে ৯২, মণিরামপুরে ৯৩, অভয়নগরে ১১৫ ও বাঘারপাড়ায় ৮৩টি মন্দিরে পূজা হবে। মণিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগরে জলাবদ্ধতার কারণে কিছু মন্দিরে পূজা হচ্ছে না। সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কর্মপরিকল্পনা অগ্রসর হয়েছে। যশোর জেলায় কোথাও কোনো প্রকার ভীতির সঞ্চার হয়নি। হিন্দু, মুসলিম জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস