কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বহলবাড়িয়া, চাঁদপুর ও বাঁশআড়া তিন বিলে রয়েছে সাড়ে চার হাজার বিঘা কৃষি জমি। কৃষকরা আগে এ বিলে বছরে তিনবার ফসল ফলাতেন কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রভাবশালীরা এ বিল দখল করে পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে।
কেউ আবার ঘরবাড়িও তুলেছে। ফলে বিলের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
প্রশাসনকে জানানো হলেও বিল উদ্ধারে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
দেশে জলাধার সংরক্ষণে আইন রয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি জলাশয়, পুকুর, খালবিল, ঝিল-ঝরনা লেক দখল করে ভরাট করে তাহলে সেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে দোষী ব্যক্তির জেল-জরিমানাও হতে পারে। দেশে জলাধার রক্ষার জন্য আইন থাকলেও তা লঙ্ঘন করা হয়। এ আইনের কেউ ধার ধারে না। এর মূল কারণ হলো আইন যথার্থভাবে প্রয়োগ হয় না। আর আইন না মানার ঘটনা শুধু কুমারখালীতেই ঘটেছে তা নয়, দেশের অন্যান্য জায়গায়ও এমন ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি জলাধার দখল করে। আর এর খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। কুমারখালীতে তিনটি বিল দখলে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। শুধু খালবিল নয়, অসাধু চক্র দেশের নদ-নদীও দখল করে। নদ-নদী, খালবিল দখলের সময় যদি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে কুমারখালীতে বিল দখলের দৃশ্য আমাদের দেখতে হতো না।
কৃষি বিভাগ বলছে, কুমারখালীর বিল তিনটি দখলমুক্ত করতে পারলে বছরে ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হবে, যার বাজারমূল্য ৩০ কোটি টাকা। আমরা বলতে চাই, কর্তৃপক্ষকে বিল তিনটি উদ্ধারের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিল তিনটি পানি প্রবাহ ফিরে পেয়েছে এবং কৃষকরা আগের মতোই বছরে তিনটি ফসল ফলাতে পারছেন- এমন দৃশ্যই আমরা দেখতে চাই।
স্বাআলো/এস