খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে খানজাহান আলী থানায় এ মামলা করা হয়। হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ মামলায় বাদী হয়েছেন কুয়েট নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৪২৭/৩৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, অবৈধ জনতাবদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনধিকার প্রবেশ করে লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে আহত এবং ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।
কুয়েটের জনসংযোগ দফতর থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা ও যেকোনো অন্যায়ের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সব ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, সব পরিচালক, প্রভোস্টদের নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে একটি সভা আহবান করেছিলেন উপাচার্য। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হওয়ার আগেই বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক স্বশরীরে সংঘর্ষস্থলে যান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিবৃত্তের চেষ্টা করেন।
এ সময় কয়েকজন শিক্ষক, উপাচার্য, বহু শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীও আহত হয়ে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন। উপাচার্যের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও শিক্ষার্থীদের সব দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানানো হয়েছে এবং আর যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ঘটনার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস