যশোরে সড়কের বেহাল দশা, মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই

রুহুল আমিন, যশোর: সড়ক, মহাসড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। সেই জন্য সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।

দুর্ঘটনা নিত্যদিনের সার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। শান্তি ও স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে চালক ও সাধারণ পথচারিদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক, মহাসড়কের গর্ত বন্ধ করতে হবে। চলাচলের উপযোগী সড়ক, মহাসড়ক প্রস্তুত করতে হবে।

দেখা যায়, যশোরে অধিকংশ সড়ক, মহাসড়কের বেহালদশা। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। সেইসময় বৃষ্টি কাদায় চলাচলের পরিবেশ থাকে না। আর বৃষ্টির পর আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে ধূলোর জন্য চলাচল করা যায় না। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চলাচলে দুর্ভোগের অন্ত নেই। যশোরের পালবাড়ি থেকে আরবপুর, ধর্মতলা, চেকপোস্ট, পালবাড়ি থেকে চুড়ামনকাটি, সাইমাইল বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের অবস্থা একেবারেই নাজুক। পালবাড়ি থেকে কাঁঠালতলা, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, মণিহার, টার্মিনাল, রুপদিয়া বাজার, মণিহার থেকে বাঘারপাড়া পর্যন্ত নড়াইল রোডের অবস্থাও করুন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলাচল করতে হবে। এছাড়াও বেহালদশা এম এম কলেজের সামনে খড়কি শাহ আব্দুল করিম সড়ক, হাজামপাড়া রোড, ধোপাপাড়া রোড, আশ্রম রোড থেকে শংকরপুররের বিভিন্ন ছোট ছোট সড়কেরও একই অবস্থা। ছোট ছোট সড়কগুলোতে বর্ষার পানি জমে থাকে। নিয়মিত পানি নিষ্কাশন হয় না। এ জন্য দ্রুতই রাস্তার পিচ নষ্ট হয়ে যায়।

ভুক্তোভোগী পথচারী সলেমান বিশ্বাস বলেন, বর্ষার কারণে সড়ক, মহাসড়কের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। কিছুদিন আগে কয়েকটি সড়কে পুটিং করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো দাঁড়াচ্ছে না। আগের মত আবার বড় বড় তৈরি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বতার সাথে আমলে নিয়ে কাজ করতে হবে।

সালাম দফাদার নামে এক পথচারি বলেন, রাস্তায় বের হলে বড় ভয় হয়। কখন যে বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। রাস্তার যে অবস্থা তাতে চলাচলের পরিবেশ নেই। তিনি পেশায় একটি কোম্পানির সেলসম্যান। প্রতিদিন যশোর শহরসহ আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাকে যেয়ে হয় পেশাগত কাজে। মটরসাইকেলে তিনি যাতায়াত করেন। রাস্তার অবস্থা ভাল না হলে তার ঝুঁকি কাটছে না।

সাদ্দাম হোসেন নামে এক গাড়ি চালক বলেন, তিনি মাইক্রো গাড়ি চালান। রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি চালাতে তার খুবই কষ্ট হয়। প্রতিনিয়ত গাড়িতেও সমস্যা হচ্ছে। জনস্বার্থে দ্রæতই রাস্তা ঠিক করা প্রয়োজন।

জীবন দাস নামে এক বাস চালক বলেন, খুবই সাবধানতার সাথে তিনি গাড়ি চালান। রাস্তা খারাপ থাকার কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাকে। যাত্রীদের অনেক কষ্ট হয়। রাস্তা ভাল থাকলে সবার জন্য ভাল হয়। সাধারণ মানুষ শান্তি ও নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। গাড়িও তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয় না। তাই রাস্তা ঠিক করা অত্যন্ত জরুরি।

যশোর অঞ্চলের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর অঞ্চলের সড়ক ও মহাসড়কগুলোর অবস্থা ভালো ছিলো। টানা বর্ষার কারণে নষ্ট হওয়া শুরু করে। বর্ষার পরে সব সড়কেই রিপিয়ারিং করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গার সমস্যা হচ্ছে। পিচ ও খোয়া উঠে গেছে। যার ফলে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। দ্রæতই এসব সমস্যা সমাধানের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে।

স্বাআলো/এস

Share post:

Subscribe

Popular

আপনার জন্য
Related

তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি, কৃষকদের মাঝে আনন্দ

হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট থেকে:উজানের ঢল ও শনিবার রাতের বৃষ্টিতে...

মরুকরণের মুখে উত্তরের জীবনরেখা

# পানিশুন্য তিস্তায় চাষাবাদ ব্যাহত, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি হাসানুজ্জামান হাসান,...

দুই ধাপে ৬ দিন ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা

ঢাকা অফিস: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলতি মে মাসে দুই দফায়...

উপকূলে নদী রক্ষা বাঁধে ফাটল, আতঙ্কে গ্রামবাসী

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের...