আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ এবং জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে বসবাসের অভিযোগে গুজরাট রাজ্য জুড়ে এক অভিযানে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ।
গুজরাট পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, যার মধ্যে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) অন্তর্ভুক্ত, এই অভিযান পরিচালনা করে।
শুধুমাত্র সুরাট শহর থেকেই রাতভর অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। সুরাটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এসওজি) রাজদীপ সিং নাকুম বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুরাট থেকে এদের আটক করা হয়েছে। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল নথি ব্যবহার করে এখানে বাস করছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
একই ধরনের অভিযান চালানো হয়েছে আহমেদাবাদেও। আহমেদাবাদের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) শরদ সিঙ্ঘল বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে চান্দোলা এলাকায় বিপুল সংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বসবাস করছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে তল্লাশি চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৮৯০ জনকে আটক করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালকের (ডিজি) নির্দেশে এই সমন্বিত অভিযান চালানো হয়েছে।
এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগেও, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে দুইটি ভিন্ন মামলায় ১২৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৭৭ জনকে ইতিমধ্যে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই অভিযান এমন এক সময়ে চালানো হলো যখন ভারত সরকার দেশজুড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ অন্তর্ভুক্ত। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি রাজ্যকে নিশ্চিত করতে বলেছে যাতে কোনো পাকিস্তানি নাগরিক ভিসার মেয়াদ শেষে বা অবৈধভাবে থেকে না যায়। এরই ধারাবাহিকতায়, অন্যান্য দেশের অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যার অংশ হিসেবে গুজরাটে এই ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হলো।
স্বাআলো/এস