নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি) মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আদালতে দেয়া অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে থানা পুলিশ।
গত ২২ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি রেকর্ড করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
এই মামলার অপর আসামি মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার জৈফলকান্দি গ্রামের এনায়েত হোসেনের ছেলে শাহিন। তিনি বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ এলাকায় বসবাস করেন।
যশোরে আইনজীবীকে মারধর, আ.লীগ সভাপতি মিলনসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাদী যশোর আদালতের পিপি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল মামলায় জানিয়েছেন, তিনি যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সরকারি আইন কর্মবকর্তা। জেলা আইনজীবী সমিতির দুই নম্বর ভবনে তার চেম্বার রয়েছে। গত ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১৫/২০ জন লোক নিয়ে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থাকা ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদের চেষ্টা করেন আসামি শাহিন। এসময় জোরপূর্বক দোকান উচ্ছেদে সেখানকার ব্যবসায়ীরা বাধা দিলে পুরাতন কসবা ফাঁড়ি পুলিশের এসআই হেলাল উজ্জামান সেখানে হাজির হন। এরই মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঈদের সেলামি বাবদ চাঁদা দাবি করে। এই ঘটনায় একইদিন রাত ৯টার দিকে ফাঁড়িতে সালিশি বৈঠক বসে। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও অপর আসামি শাহিনের নেতৃত্বে আরো ১০/১৫ জন বাদী অ্যাডভোকেট মুৃস্তাফিজর রহমান মুকুলকে গালিগালাজ করেন। বাদীকে চড়থাপ্পড় মারে এবং শহিদুল ইসলাম মিলনের শর্টগান দিয়ে বাদীকে হত্যাচেষ্টা করেন। এরপরে বাড়াবাড়ি করলে জীবনে শেষ করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এতে বাদী মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
ফলে তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এই ঘটনায় থানা পুলিশ অনীহা প্রকাশ করায় আদালতে এই মামলাটি করা হয়। আদালতের নির্দেশে নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে থানা পুলিশ।
স্বাআলো/এস