রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীতে ছাত্রদলের মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় যুবলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পরে সেখান থেকে যুদবল নেতা ফয়সাল সরকার ডিকোসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত পাঁচজন নেতাকর্মীকে আটক করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সোনাদীঘি মোড় এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। বিক্ষোভ মিছিলটি মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এর জবাবে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলকর্মীরা পাল্টা-ধাওয়া দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কোটা নিয়ে আদালতে শিক্ষার্থীরা ন্যায়বিচার পাবে, প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে ছাত্রদলের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পুলিশের সঙ্গে অ্যাকশনে নামে যুবলীগ নেতাকর্মীরাও। রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনির নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মী সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে আহত করেন তারা। এরপর পুলিশ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের যৌথ মহড়ায়, মালোপাড়া, জিরোপয়েন্ট, বাটার মোড়, গণকপাড়া ও রাণীবাজারসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ওই এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন অলিগলিতে অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা ডিকোসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
রাজশাহীর মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, কোনো অনুমতি ছাড়াই ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করছিলো। এ সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ অ্যাকশনে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
স্বাআলো/এস