সম্পাদকীয়: দুর্নীতির অভিযোগে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বদলি, বরখাস্ত,কিংবা বাধ্যতামূলক অবসরসহ কোন বিভাগীয় ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়। ক্ষেত্রবিশেষে তা দুর্নীতিকে উৎসাহ দেয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) একথা বলেছে। বলা হয়েছে, অন্য সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইনী প্রক্রিয়ায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আসলে দেশটাতে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে যেন। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এমন কোনো জায়গা নেই যে জায়গায় লুটপাট হচ্ছে না। ব্যাংকের টাকা লোপাট হচ্ছে । এই বেপরোয়া
দুর্নীতিকে সমাজ বিজ্ঞানীরা কোন দৃষ্টিতে দেখছেন তা তারাই বলতে পারবেন। তবে গ্রাম্য সেই প্রবাদ কথায় বলেতে হয় ‘মার বিদ্যা বড় বিদ্যা ভূত পালায় ডরে’ লুটেরাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিলে সব লোভীদের সব লোভ লালসা দূর হতো।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটেরাদের এ পর্যন্ত শাস্তি কতটুকু হয়েছে তা দেশবাসী ভালোভাবেই প্রত্যক্ষ করেছেন। লুটেরাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তি নিতে দেখা যায় না। অপরাধ করে তারা ছাড় পেলেও দল কিংবা সরকারের কোনো উপকারে তারা আসে না, বরং তাদের কারণে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় দারুণভাবে। এ
সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আইনগত অন্য কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। এই নিশ্চুপতা অপরাধীদের অপরাধ কর্মে উৎসাহ দেয়।
লুটেরাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হলে আজ হয়তো এত বড় অংকের লুটপাটের ঘটনা ঘটতো না। বিভাগীয় শাস্তির আড়ালে অপরাধীদের রক্ষা করার অপচেষ্টা না করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশটাকে রক্ষা করতে হলে সরকারকে কঠোর হতে হবে। কারণ দেশটি শুধু গুটি কয়েক লুটেরা বাটপারের নয়, এ দেশের মালিক ১৮ কোটি মানুষ। তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা সরকারকে করতে হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব সরকারেরই।
স্বাআলো/এস/বি