নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরে ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করছে।
ভূমিকম্প হলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে পরিবারগুলো। প্রাণ যাবে বেশ কয়েকজনের। আশেপাশে উচু উচু বিল্ডিং থাকার কারণে এখানে বসবাস ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে ঘরের মধ্যে গজে উঠেছে বিশাল এক বট গাছ। এখানে কেউ বসবাস করে তা দেখা যায় না। ফলে মানুষ মারা গেলেও কেউ জানতেও পারবে না। যশোর পৌরসভা ও গর্ণপূত ঝুকিপূর্ণ এই বিল্ডিংটি দেখতে না পাওয়ার কারণে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না বলে অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শহরে ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে জোড়া বাড়ির সামনে এসপি ফিজিওথেরাপির সেন্টারের পিছনে অবস্থিত একটি শত বছরের পুরাতন বাড়ির ভগ্নাংশ প্রায় ত্রিশ বছর একই অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়ির মালিক ঢাকায় অবস্থান করেন। তিনি টিনশেড করে দীর্ঘদিন ভাড়া দিয়ে আসছেন। বছরে এক দুই বার এসে ভাড়া নিয়ে যান। ভাড়াটিয়ারা বারবার সংষ্কার করার কথা বললে ও কোনো কর্ণপাত করেন না।
যশোরে উদ্ধারকৃত লাশ ঝিকরগাছার আঁখির, নারী আটক
সূত্র জানায়, ওই বাড়িতে কোনো সওয়ারেজ লাইন নেই। টয়লেটের লাইন সরাসরি ড্রেনে সাথে সংযোগ দেয়া রয়েছে। এতে করে ময়লা-আবর্জনা সব সময় ড্রেনে পড়ে থাকে। দুর্গন্ধে মানুষ এলাকায় বসবাস করতে পারে না। বাড়িটি ভিতরে বনজঙ্গলে ভরে গেছে। ফলে আশে পাশের মানুষজন এই বর্ষাকালে সাপের আতঙ্কে ভুগছে। বেশ কয়েকবার ছোট ছোট সাপের বাচ্চা দেখা গেছে। কয়েক বছর আগে বর্ষাকালে ছাদের অর্ধেক ভেঙ্গে পড়েছিলো। চুন সুরকির গাথুনি হওয়ায় যেকোনো মূহুর্তে দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ে প্রানহানি ঘটতে পারে।
ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা হাজী আলি হোসেন বলেন, ওই জমির মালিক খারাপ লোক। তিনি কিছু গরীব মানুষকে টিনশেড করে ভাড়া দিয়ে তাদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছেন। কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তিনি এর দায় দায়িত্ব নিবেন? সবাই বাসা-বাড়ি পুরাতন হলে ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করে। কিন্তু ওই বাড়ির মালিক তার জায়গা থেকে সুবিধা ভোগ করবে। কিন্তু মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়ে। ভূমিকম্প কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখানে ঘটতে পারে মহাবিপদ!
যশোরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন, এখানে কেউ মারা গেলে তার দায়িত্ব কেউ নেবে না। ওই বাড়ির মালিক ঢাকায় থাকেন। তিনি মাঝে মধ্যে এসে দাদাগিরি করেন। তিনি পাশের বাড়ির জমি দখল করে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেন। ফলে কেউ তার সাথে ওই ভাবে কথাবার্তা বলেন না।
এদিকে, ঝঁকিপূর্ণ এই বাড়িটি অবিলম্বে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এখানে বসবাসকারীদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্বাআলো/এস