যশোরের চৌগাছায় ভেজালমুক্ত খেঁজুর গুড় তৈরির প্রণোদনা হিসেবে গাছিদের মধ্যে সরিষা, মসুর ও পেঁয়াজ বীজ প্রদান করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ ঈদগাহ চত্বরে এই গাছি সমাবেশে এই বীজ দেয়া হয়।
উপজেলার এক হাজার ৪০০ গাছি আছে। প্রতিটি ইউনিয়নের তাদের নিয়ে একটি করে সমবায় সমিতি করে দেয়া হচ্ছে। একটি ওয়েবসাইট খুলে গাছিদের ছবিসহ নামের তালিকা ও মোবাইল নম্বর দিয়ে দেয়া হবে। যেনো দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ক্রেতারা সরাসরি গাছিদের কাছ থেকে খেঁজুর গুড় কিনতে পারেন।
এছাড়া গাছিদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও সরঞ্জাম প্রদান এবং সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। যা অব্যাহত রাখা হবে।
পেঁয়াজের আবাদ বাড়াতে ১৮ হাজার কৃষক পাবেন বিনামূল্যে বীজ ও সার
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাছিদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন কোনোভাবেই গুড়ে ভেজাল দেয়া যাবে না, বেশি বেশি খেঁজুর গাছ লাগাতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে গাছ কাটার প্রশিক্ষণ দেয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
এর আগে গাছিদের কোনো সাহায্য সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি না। মুখেই বলা হতো ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’। যার সবটুকু কৃতিত্ব ছিলো গাছিদের । ভালো ভালো স্লোগান শুধু কাগজে-কলমে দেখা যেতো। এর কোনো প্রকৃত মূল্যায়ন ছিলো না। বর্তমান কৃষক বান্ধব সরকার উৎপাদনকারীদের কৃষকদের মূল্যায়ন করছে। আর এ কারণেই তাদেরকে কৃষিতে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। যশোরের চৌগাছায় ব্যতিক্রমী প্রণোদনার উদ্যোগে গাছিরা উৎসাহিত হবে। এই প্রণোদনা খেজুরের গুড় উৎপাদন বাড়াবে তাতে
কোনো সন্দেহ নেই।
কৃষির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রণোদনা দেয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকদেরকে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ হিসেবে বীজ এবং ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার, আগাছা দমন এবং সেচ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে অতীতের আলোকে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। এবার পেলো চৌগাছার গাছিরা প্রণোদনা। শুভ উদ্যোগটি সফল হোক এ কামনা করি।
স্বাআলো/এস