জেলা প্রতিনিধি, পাবনা: গ্রামের ছয় বন্ধুকে নিয়ে প্রাইভেটকারযোগে ঘুরতে বের হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়াস্থ পাবনা সুগার মিল গেটের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের আযমপুর ডিগ্রীপাড়ার মৃত মাসুম হোসেনের ছেলে সিফাত ইসলাম সিয়াম (১৬), একই এলাকার ইলিয়াস হোসেনের ছেলে শিশির মাহমুদ (১৫), কুদ্দুস প্রামানিকের ছেলে জিহাদ হোসেন (১৪), আনোয়ার হোসেনের ছেলে বিজয় হোসেন (১৮), সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী এলাকার ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে শাওন (১৪)। আহতরা হলেন- একই এলাকার সুমন খন্দকারের ছেলে নাইম হোসেন (১৪) ও জামাল খন্দকারের ছেলে আবু সাঈদ (১৭)।
সন্ধ্যার মধ্যে যশোরসহ ২০ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে
নিহত বিজয় হোসেনের পরিবারের বরাত দিয়ে প্রতিবেশীরা জানান, আনোয়ার হোসেনের ছেলে বিজয় ঢাকায় একটি কম্পানিতে প্রাইভেটকার চালক হিসেবে চাকরি করত। ঈদের পর ছুটিতে বাড়িতে এসে বন্ধুদের নিয়ে সে প্রাইভেকার চালিয়ে ঘুরতে বের হয়। তারা ছয় বন্ধু মিলে তাদের অপর বন্ধু সলিমপুরের ভাইড়মারি গ্রামের শাওনকে গাড়ি দিয়ে আনতে যায়। তাকে নিয়ে আযমপুরের ডিগ্রিপাড়ায় ফেরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে প্রাইভেটকারটি পাবনা সুগার মিলের সামনে রাস্তার একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আরো দুই জনের মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মীর আমিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটিকে কেটে ভেতর থেকে তাদের বের করা হয়। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে আরো দুইজন মারা যায়।
ডা. জনি নিখোঁজ: সাতক্ষীরার সাবেক ওসি ও এসআইয়ের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ
দ্রুত গতির কারণে চালক প্রাইভেটকারটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় রাস্তার পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে কারের ভেতরে সবাই আটকে পড়ে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পাকশী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেলাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রাইভেটকারটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিলো।
ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ: ভাই-বোন নিহত, একই পরিবারের আহত ৫
অনিয়ন্ত্রিত গতিতে চলার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনায় চালকসহ এবং তার চার বন্ধু নিহত হয়েছে। অপর পাঁচ বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছে। নিহতের স্বজনের লিখিত দাবিতে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল সরদার জানান, দুর্ঘটনায় তার ইউনিয়নের একই গ্রামের চার জন ও সলিমপুর ইউনিয়নের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরোগ্রামটি শোকে মাতক হয়ে পড়েছে। পরিবারের আহাজারি থামানো যাচ্ছে না।
স্বাআলো/এস