নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে আওয়ামী লীগ কর্মী মোহাম্মদ হানিফ (৪৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) তার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
হানিফের স্ত্রী শিরিন জানান, ঢাকায় নেয়ার পর ঢাকা মেডিকেলে তার বড় একটি অপারেশন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ২টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে আইসিইউতে নেয়ার প্রস্তুতি চলছিলো। এমন সময় হানিফ মারা যান।
তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন সকালে বারবার হানিফকে কল করেছিলেন জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। এক পর্যায়ে টুটুল বাড়ি থেকে বের হন। রাতে জানতে পারেন, হানিফ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) হানিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। এরপরই তিনি পালিয়ে যান। এ সময় হানিফ মদ্যপান অবস্থায় ছিলেন এবং একেক সময় একেক রকম তথ্য দিচ্ছিলেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হানিফ মদ্যপান অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি উল্টাপাল্টা তথ্য দিচ্ছিলেন। কে গুলি করেছে বা কেনো গুলি করেছে, সে বিষয়ে এখনো অস্পষ্ট। তবে কার পিস্তল থেকে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সেটা স্থানীয়রা জানিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী বাবুল।
এ ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তার সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে।
স্বাআলো/এস