সম্পাদকীয়: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ১২ জন এবং বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে।
চলতি বছর এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৮৩৫ জন। এরমেধ্য মারা গেছেন ৩৬ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু দেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। এরপর থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে।
সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর-এই সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোনো মৌসুম নেই। সারাবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। আগে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগর কেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে মশার উপত্রæব অত্যন্ত বেশি।
গ্রামের মানুষ ইচ্ছা করলেই সতর্ক থাকতে পারে না। তাদেরকে আগলা শরীরের সারা দিন তো বটেই, রাতের একটা অংশও কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এ সময় মশায় কামড়ালে করার কিছু থাকে না না। তাই গ্রামে যাতে মশা নিধনে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। এ বিষয়ে এখনই আমাদের সতর্ক হতে হবে।
এ বছর জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন যাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
স্বাআলো/এস