মিলন হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) অভিযানে দুই আসামিসহ ভারতীয় ফেনসিডিল, গাঁজা, শাড়ি, কম্বল, কিসমিস, চকলেট, বিভিন্ন প্রকার ঔষধ এবং কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করেছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এসব মালামাল আটক করা হয়।
আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন- আকাশ (২০) ও মোঃ ইমন হোসেন (১৯) ধান্যখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক, মেজর ফারজিন ফাহিম, এসি জানান, বিজিবির আভিযানিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান মালামালসহ পাচার চক্র আটকের ক্ষেত্রে সীমান্তে বিজিবির গোয়েন্দা ও টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ৯ ফেব্রুয়ারি ধান্যখোলা বিওপি, আমড়াখালী চেকপোস্ট, বোনাপোল বিওপি এবং বেনাপোল আইসিপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দুই আসামিসহ সর্বমোট আট লাখ ৯৩ হাজার ৪৭০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ফেনসিডিল, গাঁজা, শাড়ি, কম্বল, কিসমিস, চকলেট, বিভিন্ন প্রকার ঔষধ এবং কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করে।
বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান, চোরাকারবারী কর্তৃক মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারণে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে দেশের তরুন/যুব সমাজকে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগ এবং বিজিবির দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানকে স্থানীয় জনগণ সাধুবাদ জানায়। এছাড়াও ভবিষ্যতে বিজিবির এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
এদিকে এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন, যশোর ব্যাটালিয়ন ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী ও উপ অধিনায়ক মেজর ফারজিন ফাহিম যোগদান করার পর থেকে একের পর এক মাদকের চালান ও চোরাচালানী পণ্য আটক করছে।
তারা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালানীরা যতো বড়ই শক্তিশালী হোক না কেনো তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বাআলো/এস