সম্পাদকীয়: যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের শারমিন প্রিয়ার পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার জেরে যৌতুক হিসেবে ঢাকায় ফ্লাট কিনে দেবার দাবিতে নির্যাতন করে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে। প্রেম করে বিয়ে করার ১১ মাসের মাথায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষেয়ে মামলা হয়েছে। অন লাইন নিউজ পের্টাল স্বাধীন আলোয় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে ৩ আগস্ট।
যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতনের ঘটনা এ সমাজে অহরহ ঘটছে। কিন্তু প্রতিকারের কোনো স্থায়ী পথ বেরুচ্ছে না। আমরা কথায় কথায় বিনয়ী ভদ্র খোঁজ করি। এ মানবিক গুণের কারণেই এই খোঁজটা করা হয়। কেউ চলার পথে
ভুল করলে আমরা তাকে অভদ্র বলে গালি দেই। কিন্তু অনেককেই দৃশ্যত ভদ্র মানুষ বলে মনে হয়। কিন্তু নৈতিকতার অভাব হলে ভদ্র নামধারীরা জানোয়ারই হয়।
তাদেরই হাতে নির্যাতিত হবে নারী, নির্যাতিত হবে অগণিত মা-বোন। ১৯৮০ সালে আইন করে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর দুই দফা সংশোধন করে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ নামে নতুন আইন পাস করা হয়েছে।
সেখানে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন দিয়েও বিচার করা হয়। যারা আইন কার্যকর করে তারা যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে অবস্থাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যৌতুক বন্ধ করা যায়নি। যৌতুকের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আজও অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। গণমাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রায়ই প্রকাশিত হয়। তবে অনেক খবর থেকে যায় অপ্রকাশিত।
মানুষ কত বিবেকহীন হলে এমন কাজটি করতে পারে। আসলে এটা তার খাছিলত। অসীম চাহিদা নিয়ে সব কিছুতে অতৃপ্ত থাকেন। কথায় আছে ‘যে অল্পে তুষ্ট সেই সুখী’। ওই স্বামী অল্পে তুষ্ট হবার মানুষ নয়। আসলে ‘খাছিলত যায় মরলে’ প্রবাদ কথাটিই সত্য। আলোচিত ওই স্বামী না মরা পর্যন্ত তার খাছিলত যাবে না। সরকারের উচিত এসব যৌতুক লোভীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
স্বাআলো/এস/বি