শারদীয় দূর্গা পূজা শুরু ৯ অক্টোবর, প্রতীমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্কররা

রুহুল আমিন, যশোর: আগামী ৯ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা শুরু হবে।
যশোরে দূর্গা উৎসবকে সফল করার লক্ষ্যে প্রতীমা তৈরি কাজে নিপুণ মেধাবুদ্ধি ব্যবহার করছেন ভাস্কররা। দিনরাত পরিশ্রম করছেন প্রতীমা তৈরিতে। ব্যস্ততায় নাওয়া-খাওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন না।
দেখা গেছে, যশোর বেজপাড়া পূজার মাঠে দ্বিতীয় তলায় দূর্গা প্রতীমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাস্করবৃন্দ। ভাস্কর জয়দেব পালের নেতৃত্বে অত্যান্ত সুনিপুণতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন মৃৎশিল্পী। দূর্গা পূজার একসেট প্রতীমা তৈরি করার জন্য ভাস্কররা নিচ্ছেন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। যশোর শহর, ঝিনাইদহ সদর, মাগুরা সদর, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, ঝিকরগাছাসহ বিভিন্ন থেকে প্রতীমা তৈরি করার জন্য মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ পূজার মাঠে আসেন। এখনো পর্যন্ত অর্ডার পাওয়া ৩৫টি মন্দিরের প্রতীমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। রং করার পর সেগুলো মন্দিরে নেয়ার উপযোগী হবে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃহত্তর যশোরের বিভিন্ন জেলা থেকে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ এখানে অর্ডারের জন্য ভিড় করবেন। সেইসব অর্ডারগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন করার মানসিকভাবে প্রস্তুত ভাস্কর বা মৃৎশিল্পীরা।
পূজার মাঠের প্রধান ভাস্কর জয়দেব পাল জানান, আপতত ৩৫টি দূর্গা প্রতীমা তিনি প্রস্তুত করেছেন। শুধুমাত্র রং করা হলেই মন্দির কর্তৃপক্ষ নিতে পারবেন। সাধারণ পূজা শুরু হওয়ার এক থেকে দুইদিন আগে মন্দিরে প্রতীমা উঠানো হয়। কেবলমাত্র প্রতীমার কাজ শুরু হয়েছে এভাবে ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে প্রতীমা বানাতে আসেন।
পূজার মাঠের পুরোহিত নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী বলেন, সনাতন ধর্মের মা দূর্গা এ বছর ৯ অক্টোবর দোলায় আগমন করবেন। ঘটকে ফিরে যাবেন। এবারের আসা ও যাওয়া কোন ঘাটই শুভকর নয়। নৌকায় আগমন ও হাতিতে ফিরে গেলে শুভকর হয়। দূর্গাকে সাজাতে ভাস্কররা প্রতীমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত।
যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষ বলেন, সনাতন ধর্মের মানুষের কাছে দূর্গার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও ভক্তি রয়েছে। তাই জাঁকজমকভাবে দূর্গা উৎসব করেন। যশোরের সব মন্দিরে দূর্গা উৎসব হবে সেই প্রস্তুতি চলছে। আশা করা যায় সম্প্রীতির সাথে দূর্গা উৎসব সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তারপরও কোথায় কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি থাকবে না।
স্বাআলো/এস