প্রথমবারের মতো ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল দিয়ে দেশে এলো ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে এই ডিম বন্দরে আসে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডিম বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। পরীক্ষণ শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে।
জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ২৯৫৬.৪০ ইউএস ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৪ ইউএস ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় ৪ টাকা ৯৫ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৬ টাকা ৬১ পয়সা।
ঢাকার পশ্চিম রামপুরা এলাকার বিডিএস করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান মোট ১ কোটি ডিম আমদানি করছে। এরমধ্যে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আজ এলো। পর্যায়ক্রমে এই বন্দর দিয়ে ১ কোটি ডিম আসবে। এসব ডিম রফতানি করছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলার কানুপ এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের প্রতিনিধি আমার কাছে কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলো। ইতোমধ্যে ৬১ হাজারের অধিক ডিম বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জেনেছি। এখানে পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে। তা ছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
বিষয়টি নিয়ে বেনাপোল এক নম্বর শুল্কায়ন গ্রুপের সুপারেনটেন্ড রেজাউল করিম বলেন, ডিম আমদানির ওপরে ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স আছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে।
স্বাআলো/এসএ