প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক শেভরন কুমারকে (২৪) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শুন্য রেখায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মানসিক ভারসাম্যহীন শেভরন বাংলাদেশের নাটোর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলো প্রায় আড়াই বছর। শেভরন কুমারের বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের রানাগঞ্জে। বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে নাটোর জেলা পুলিশের হাতে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি আটক হয় শেভরন। আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয় । সেখানে ছিলো ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে নেয়া হয়। দুই বছর ছিলো চুয়াডাঙ্গা কারাগারে।
সাজার মেয়াদ শেষ হলে গত ৩০ এপ্রিল প্রত্যাবসনের জন্য তাকে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে নেয়া হয়। কিন্ত সেদিন তার কোন অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রহন করেনি। আবার ঠাঁই হয় কারাগারে। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে শেভরন কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি এবং দুলাভাই ছোটু কুমার উপস্থিত ছিলেন।
শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি বলেন, আমি গরীব মানুষ। র্দীঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগল ছেলেটাকে ফিরে পেলাম।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ। ভারতের পক্ষে ছিলেন গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেঁদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল ও রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।
স্বাআলো/এস