যশোর শহর যানজট মুক্ত করতে ধারাবাহিক অভিযান

রুহুল আমিন, যশোর: শহরের পৌরসভায় প্রশাসক যোগদানের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ড্রেন ও ফুটপথ দখলমুক্ত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
শহরবাসীকে যানজটের হাত থেকে মুক্ত করতে শান্তি ও স্বস্তি দেয়ার জন্য মূলত অভিযান চালানো হচ্ছে। টানা সাতদিন অভিযান চালিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপথ ও ড্রেনের উপর থেকে অবৈধ দখলদারিদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
যশোর পৌরসভার সড়ক ও পয়ঃনিষ্কাশন বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী বিএম কামাল আহম্মেদ জানান, যশোর শহরকে শান্তি ও স্বস্তির শহর করার জন্য যানজট নিরাসন করা অত্যান্ত জরুরি। সেই জন্য প্রশাসক স্যার যোগদান করার পর থেকেই ফুটপথ ও ড্রেন দখলমুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে টানা সাতদিন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অভিযান চালিয়ে চোপদারপাড়া সড়ক, সিভিল কোর্ট থেকে দড়াটানা, দড়াটানা থেকে গরীব শাহ সড়ক, দড়াটানা থেকে সদর হাসপাতালের শেষ সীমানা পর্যন্ত, দড়াটানা থেকে কুইন্স হসপিটাল পর্যন্ত, দড়াটানা থেকে ঘোপ সেন্টাল কবরস্থান পর্যন্ত, খড়কি শাহ আব্দুল করিম সড়কে অভিযান পারিচালনা করা হয়েছে। এসব রোডে ফুটপথ ও ড্রেন দখলমুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে যততত্র পার্কিংও বন্ধ করা হচ্ছে। ড্রেনের উপর থেকে চাপ কমে যাবে। পয়ঃনিষ্কাশন করতে সুবিধা হবে। এতে সাধারণ মানুষ যেনো নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবেন। পৌরসভার মূল লক্ষ্য যানজটমুক্ত করা। শহরবাসীর প্রয়োজনে এ অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে। কাউকে ফুটপথ ও ড্রেন দখল করে থাকতে দেয়া হবে না। সড়ক দখলমুক্ত হলে ভিড় কমে যাবে। যার ফলে যানজট কমানো সম্ভব হবে। এছাড়াও অবৈধ যানে অভিযান চালানো হলে যানজট কমতে সহায়ক হবে। পর্যায়ক্রমে এসব বিষয়ে নজর দেয়া হবে।
যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন জানান, যশোর শহরবাসীকে যানজটের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। পৌরবাসী সুবির্ধাথে অভিযান চলবে। অভিযানে ইজিবাইক, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন ধরণের ছোট-বড় গাড়ি যততত্র পার্কিং করা বন্ধ হয়েছে। সেই সাথে ড্রেন ও ফুটপথ দখলমুক্ত করা হয়েছে। যানজট যতটা সম্ভব নিরাসন করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ড্রেন দখলের ফলে পানি নিঃষ্কাশন হয় না। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করা যায় না। শহরবাসীকে নানাবিধ দুর্ভোগে পড়তে হয়। শহরবাসীকে রিলিভ করার জন্য এসব উচ্ছেদ অভিযান চলছে। পৌরসভার প্রশাসকের নির্দেশে এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্বাআলো/এস