আগামী ২৬ জুন থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর এই পরীক্ষায় মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে শনিবার (১৪ জুন) এসব তথ্য জানা গেছে।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। গত বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলো।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনাবলি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড।
করোনা বাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে ‘উদ্বেগ’
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাবলি:
১. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক পরাসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
২. পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
৩. পরীক্ষা প্রথমে বহুনির্বাচনী (MCQ) এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) অংশে অনুষ্ঠিত হবে।
৪. ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য সময় ৩০ মিনিট।
৫. ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার জন্য সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
৬. ব্যবহারিক বিষয়যুক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষা ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ধরে হবে।
৭. এমসিকিউ ও সৃজনশীল উভয় অংশের পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না, পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে চলবে।
৮. সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ করা হবে এবং ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। ৯. সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ করে সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের এমসিকিউয়ের ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)।
১০. দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলে দুপুর দেড়টায় উত্তরপত্র ও ওএমআর শিট দেওয়া হবে, দুপুর ২টায় এমসিকিউ প্রশ্ন এবং দুপুর আড়াইটায় এমসিকিউ উত্তরপত্র সংগ্রহ করে সৃজনশীল প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে (২৫ নম্বরের এমসিকিউয়ের ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।
১১. পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
১২.প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
১৩. তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
১৪. রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয় ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
১৫. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, আসন বিন্যাস স্থানান্তরের মাধ্যমে করা হবে।
১৬. পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে, তবে প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ।
সার্বিক প্রস্তুতি এবং বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেলেও এই মুহূর্তে পরীক্ষা পেছানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য বোর্ড থেকে আহবান জানানো হয়েছে।
স্বাআলো/এস
