সম্পাদকীয়:পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পৌরবাসীর অন্যতম নাগরিক অধিকার। কোনো পৌরবাসীর এ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু যে ওই পৌর এলাকার বাসিন্দারাই উপকৃত হন তা নয়। বহিরাগত বিপুল সংখ্যক মানুষও উপকৃত হয়।
এ কথা অনস্বীকার্য যে, শহরের বাসিন্দাদের চেয়ে বহিরাগত মানুষের সংখ্যাই বেশি। এ ক্ষেত্রে কোনো পৌর এলাকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মানেই গণমানুষের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। যশোরের ঐতিহ্যবাহী পৌর এলাকায় এই পরিচ্ছন্ন পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের অভাবে। যশোর জেল সড়কের ময়লার স্তুপটি তার প্রমাণ।
পৌর এলাকার পাড়া-মহল্লার রাস্তা থেকে শুরু করে বড় রাস্তার পাশে জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ। ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল ও কাকের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ময়লা ছড়িয়ে পড়ছে। সামান্য বাতাসে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নাকে রুমাল চেপে পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া ডাস্টবিনের অভাবে বাসাবাড়ির আশপাশের পানি নিষ্কাশন নর্দমায় ময়লা ফেলছে অনেকে। ফলে শহরের অধিকাংশ নর্দমা ভরে যাচ্ছে ময়লা-আবর্জনায়।
পৌর কর্তৃপক্ষ শহরে ডাস্টবিনের সংখ্যা অনেক কম । নতুন করে ডাস্টবিন নির্মাণ করতে চাইলেও জায়গা সংকটের কারণে নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কেউ এ কাজে জায়গা দিতে চান না। আবার অনেক সময় ডাস্টবিন ভেঙে ফেলা হয়। নতুন ডাস্টবিন নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা বর্তমানে নেই।
এক কথায় বলা যায় মানুষ এখন ডাস্টবিন যন্ত্রণায় আছে। যশোর শহরকে দৃষ্টিনন্দন করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্ব শর্ত হলো পরিচ্ছন্ন্ পরিবেশ। নোংরা-আবর্জনায় ভরা প্রশস্ত রাস্তা, ময়লা দুর্গন্ধ পানিতে উপচে পড়া উন্নত মানের ড্রেন এমনতরো সমস্যা রেখে কোনোক্রমেই দৃষ্টি নন্দন শহর গড়া যাবে না। মানুষের সুবিধা নিশ্চিতকরণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে আমার স্বাগত জানাই। সেই সাথে দাবি জানাই মানুষের সার্বক্ষণিক বিরক্তিকর ডাস্টবিন সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক।
স্বাআলো/এস