পদ্মাসেতুর উপকার ভোগ করতে চাই

সম্পাদকীয়: স্বপ্নের পদ্মাসেতু দিয়ে দ্রুতই বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল করবে। কিন্তু সুবিধা বঞ্চিত হতে যাচ্ছে যশোরবাসী। বর্তমানে যশোর স্টেশন হয়ে তিনটি ট্রেন ঢাকায় গেলেও পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্পের মাধ্যমে যশোরের জন্য মাত্র একটি ট্রেন রাখা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ যশোরবাসী আন্দোলন শুরু করেছেন।

সর্বশেষ ৩ জুন সংবাদ সম্মেলন করেছে যশোরের সেসরকারি সংস্থা জনউদ্যোগ । তারা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো বেনাপোল-যশোর-ঢাকা রুটে দুইটা ট্রেন চালু করা। দর্শনা- যশোর-ঢাকা রুটে দুইটা এবং খুলনা থেকে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা রুটের ট্রেনটা বহাল রাখতে হবে। ট্রেনের সময়সূচি এমন করতে হবে যাতে যশোর থেকে ঢাকা প্রতিদিন অফিস করা যায়। আর আন্তঃনগর ট্রেনে সুলভ (সাধারণ) বগি, কৃষিপণ্য, সবজি, ফুল-ফল ও মাছ বহনের জন্য মালবাহী বগি যুক্ত করতে হবে। এছাড়া টিকিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিবন্ধনের বাইরে ব্যবস্থা রাখতে হবে। একই সাথে বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা।

ঐতিহ্যের সর্বোচ্চ অবস্থানের যশোর জেলা অবহেলার সর্বনিম্ন অবস্থিত। এ জেলার কোন বিষয়ই এর ঐতিহ্যের গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন হয় প্রৌঢ়ত্ব। এটা যশোরবাসীর জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। বিশ^বিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এমনইভাবে সব কিছু বাস্তবায়নে জেলাবসীকে পথে নামতে হয়েছে।

মেডিকেল কলেজ হলেও এর সাথে হাসপাতাল স্থাপনের অত্যন্ত যৌক্তিক এবং ন্যায়সঙ্গত দাবিটির জন্যও যশোরবাসীকে আন্দোলন করতে হয়েছে। দুুঃখজনক বিষয় হলো এরপরও জনপ্রতিনিধি নামধারী এক শ্রেণির নেতাদের ঐতিহ্য বিধ্বংসী কার্যকলাপ সক্রিয় রয়েছে।

জনউদ্যোগের দাবি আমরা আন্তরিকভাবে সমর্থন করে জানাই, পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্পে যশোর স্টেশনের ওপর দিয়ে একাধিক ট্রেন ঢাকায় চলাচলের দাবি মানতে হবে। এ দাবি কারো ব্যক্তিগত নয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির দাবি।

এ ছাড়া প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের সাথে স্থলপথে যোগাযোগের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো বোনাপোল। বৃহত্তর স্থলবন্দরটিও বেনাপোলে অবস্থিত। সব দিক থেকে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির দাবি যৌক্তিক। এ দাবি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।

স্বাআলো/এস/বি