প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৮৩ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি গ্রামে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ শুরু হয়। এই কয় বছরে ২৪টি জেলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ হচ্ছে।
এতে জড়িত আছেন প্রায় ১৫ হাজার কৃষক। আর ফুলের উৎপাদন ও বিপণনে জড়িত প্রায় দেড় লাখ মানুষ। ফুলের চাষ ও ব্যবসায়ের মাধ্যমে জীবিকার সংস্থান করেন সাত লাখের মতো মানুষ। তাই এই খাতটিতে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ফুল রফতানি হয় খুব সামান্যই।
ছুটির দিনে গদখালীতে উৎসবে মেতেছিলো ফুল পিপাসুরা
সম্প্রতি ফুল ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে ঢাকায় এক আলোচনায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এই মুহূর্তে বছরে ৫০ কোটি ডলারের ফুল রফতানির সুযোগ আছে। তবে বিশ্বে ফুলের বাজার মোটেও ছোট নয়। বছরে তিন হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বিশাল বাজার আছে ফুলের। এর চাষাবাদ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণসহ রফতানির আধুনিক উপকরণ জোগান দেয়া হলে ফুল একটি উল্লেখযোগ্য রফতানি পণ্য হতে পারে। তবে সেটি করতে হলে এখানেও অনেক পথ পেরোতে হবে।
সম্প্রতি কৃষি বিপণন দফতর ঢাকার গাবতলীতে ফুলের পাইকারি বাজার ও ফুল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। নানা দিবস ও অন্যান্য উপলক্ষে দেশের ভেতরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বাজার আছে। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেয়া হলে এটি গার্মেন্টস শিল্পের মতো বড় খাত না হলেও রফতানি আয়ে ভালো অবদান রাখতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এতে কর্মসংস্থানও বাড়বে।
স্বাআলো/এস