মিলন হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: বেনাপোল বন্দরের পরিচালক পদ প্রায় এক বছর ধরে শূন্য। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
বন্দরের যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বারস্থ হতে হয় ঢাকার স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বন্দরের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে জরুরি ভিত্তিতে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো বন্দরে পরিচালক নিয়োগের দাবি করলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তারা আরো জানাই, আমদানি-রফতানি বিষয়ে তার কাছে যাওয়ার পর সাথে সাথে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখে তারপর সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। এতে বোঝা যায় তিনি ঢাকা থেকে সব কিছু জেনে তারপর সিদ্ধান্ত দেন। এ জন্য অনেক সময় বসে থাকতে হয়। এতে কাজের খুব ক্ষতি হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১০ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখনো পর্যন্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
উপপরিচালক রেজাউল করিম জানান, পরিচালক নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে থেকে নিয়োগ দেয়া হয় কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়নি।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক পদে মনিরুজ্জামানকে নিয়োগ দেয়। তিনি বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে পরিচালক (ট্রাফিক) পদে কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
বেনাপোল বন্দর দেশের ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ স্থল বন্দর। সরকারের নির্দেশনায় এ বন্দরে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। এই বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করে বাংলাদেশ।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাড়ায় বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম বেড়েছে।পরিচালক (ট্রাফিক) পদটি শূন্য থাকায় বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।তবে, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে সার্বক্ষণিক একজন কমিশনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
বেনাপোল বন্দরে পরিচালক শূন্য এবিষয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ফোন দিলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বিকালে ফোন দিতে বলেন।
স্বাআলো/এস