ফাইবার দিয়ে আলামিনের আয় মাসে আড়াই লাখ টাকা

পটুয়াখালীতে মোটরসাইকেলের বিভিন্ন সৌন্দর্য বর্ধন ডেকোরেশন পণ্য তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন উদ্যােক্তা আলামিন।

যেখানে ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয় ৫০ প্রকারেরও বেশি ডেকারেশন পণ্য। এসব পণ্য বিক্রি করে মাসে আয় করেন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। সরকারি সহায়তা পেলে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে শুধু দেশে নয়, পণ্য সামগ্রী রফতানি করা হবে বিদেশেও।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চরবলইকাঠি গ্রামে দুবাই ফেরত আলামিন ফাইবার দিয়ে আধুনিক মোটরসাইকেলের ডেকোরেশনের বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে সাড়া ফেলেছে এলাকায়।

নিজ এলাকায় ঝুপরি ঘরে বসেই সামান্য পুজি খাটিয়ে ফাইবার দিয়ে তৈরি করেন মোটরসাইকেলের টেঙ্কি, বেলিপেন, নোস, হরিণ উইনসেট, ব্যাক কাভার, ইঞ্জিন গার্ডসহ মোট ৫০ প্রকারের বেশি ডেকারেশনের সামগ্রী।

নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ বিষয়ক ক্লাস্টার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ পরিদর্শন

উদ্যোক্তা জানিয়েছেন দুবাই থেকে দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়েন তিনি। ঢাকায়ও তেমন কাজ কর্ম পাচ্ছিলেন না। তাই নিজ জেলা পটুয়াখালী ফিরে আসেন তিনি। পরে ২০২০ সালে নিজ এলাকায় এসে নতুন করে শুরু করেন ব্যবসা। নিজ এলাকায় পরিত্যাক্ত জায়গায় কারখানা করতে পারায় এতে সাশ্রয় হয়েছে দোকান ও বাসা ভাড়া। অন্যদিকে গ্রামেও এখনো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে বাড়ি বসেই নির্বিঘ্নে পণ্য সামগ্রী পাঠাতে পারছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। তার তৈরি সামগ্রী বিক্রি করেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও যশোহরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

বেকার যুবকসহ পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক যুবক পার্টটাইম কাজ করে আলামিনের এ প্রতিষ্ঠানে এবং এখান থেকে টাকা উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছেন তারা।

ঢাকায় যে কোম্পানিতে এ কাজ শিখেছেন আলামিন, সে কোম্পানি থেকে ইন্টারভিউ দিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন তিনি। করোনাকালীন সময়ে দেশে ফিরে এসে নিজের শেখা মেধা কাজে লাগিয়ে স্বল্প পরিসরে ফাইবার দিয়ে মোটরসাইকেল ডেকোরেশন সামগ্রী তৈরির কারখানা চালু করেন। ফাইবার, রেজিন এবং পাওয়ার অক্সাইডের সমন্বয়ে বিভিন্ন লেয়ার তৈরি করে ডাইসের সাহায্যে মোটরসাইকেলের বিভিন্ন ডেকোরেশন পণ্য তৈরি করেন আলামিন।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ

তার তৈরি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এখানে কাজ করে এলাকার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারী সহযোগিতা পেলে আরো বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

বিসিকের ভারপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক আলমগীর সিকদার বলেন, কর্মচারীদের বেতন দিয়ে বাড়ি বসেই এখন উদ্যোক্তার মাসে আয় হচ্ছে দুই লাখেরও বেশি টাকা। এরকম একজন নবাগত উদ্যোক্তাকে সকল ধরনের সহযোগিতার কথা জানালেন এই কর্মকর্তা। সরকারি সহযোগিতা পেলে উদ্যোক্তার কাজের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধান হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্বাআলো/এস

Share post:

Subscribe

spot_imgspot_img

Popular

More like this
Related

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানিকে শর্ত আরোপ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানিতে নতুন শর্ত জারি করা...

ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে যতদিন

আবারো আসছে হাড়কাঁপানো শীত। আগামীকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) সারাদেশে...

যশোরে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

যশোর সদরের রুপদিয়ার বিলপাড়ায় কড়াই গাছের ডাল কাটার সময়...

থানা থেকে লুট হওয়া রাইফেল মিললো খাল পাড়ে

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: জেলার সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের লুট হওয়া...