অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস! মামুন-লায়লার তুমুল বিবাদে ঐশী, মাদক ও প্রতিশোধের হুমকি

জনপ্রিয় টিকটকার জুটি প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও লায়লার মধ্যে বিবাদ নতুন মাত্রা পেয়েছে। এবার এই বিতর্কে জড়িয়েছে আরেক টিকটকার অনামিকা ঐশীসহ একাধিক নারীর নাম। অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস, মাদক সেবন, একাধিক শারীরিক সম্পর্ক এবং মামলার হুমকি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তারা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকটকার অনামিকা ঐশী ও প্রিন্স মামুনের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় সময় কাটাতে দেখা যায়। লায়লার দাবি, শুধু ঐশীই নন, মামুন আরও একাধিক মেয়ের সঙ্গে নিয়মিত ঘুরতে যান এবং মাদক সেবন করে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামুন। উল্টো তিনি অভিযোগ তুলেছেন, লায়লাও মাদকাসক্ত এবং একাধিক পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই গত শনিবার (১০ মে) লায়লার বাড়িতে প্রবেশ করে ফেসবুক লাইভে আসেন মামুন। সেখানে লায়লার সঙ্গে তার তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। প্রায় ৩০ মিনিটের ওই লাইভে মামুন অভিযোগ করেন, ৪ বছর আগে তুমি আমার কাছে এসেছো। আমি তোমার কাছে যাইনি। আমার বয়স কম হওয়ায় নানা উপহার দিয়ে আমাকে লোভ দেখাতে। তোমার মতো জঘন্য, ইতর আমি আমার জীবনে দেখিনি।
ওড়না বা হিজাব পরে খেলার কোনো সুযোগ নেই: তিশা
মামুন আরো বলেন, আমার নামে ৫টা মামলা দিয়ে আটকে রেখেছ। আমাকে পুতুলের মতো নাচাচ্ছ। কোনো মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে যেতে দেও না। আমার মোবাইল স্টক করে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ভিডিও নিজের মোবাইলে নিয়ে নিচ্ছ। নেটদুনিয়ায় খারাপ ক্যাপশন দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছ। আমার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছ।
লাইভের শেষে ভক্তদের উদ্দেশে মামুন বলেন, লায়লা আমাকে বলেছে আইন ছাড়া আরও অনেক কিছু আছে, যা দিয়ে আমার জীবন ধ্বংস করে দেবে। আমি এখন কি করব ভাই; আপনারা আমাকে বুদ্ধি দেন। আমি জানি, লাইভে এসে আমি আমার লাইফ বাঁচাতে পারব না।
পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মামুন বলেন, লায়লা আমাকে সব সময় বলেছে ও আর আমি সব সময় ভালো বন্ধু থাকবো। কিন্তু এখন সেটা ও মানছে না।” লায়লার সঙ্গে ভালোবাসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি বয়স একটা নাম্বার মাত্র। তা দেখে আসলে ভালোবাসা হয় না। ভালোবাসা আসে মায়া থেকে। ৪ বছর আগে লায়লার প্রতি আমার মায়া ছিল, তারও ছিল। কিন্তু সেটা এখন এমন ভয়ংকর রূপ নেবে আমি তা জানতাম না।
এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও ফেসবুক লাইভের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাদের ভক্ত ও অনুসারীরাও এই বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত।
স্বাআলো/এস