সম্পাদকীয়: এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে যশোর আদালতে দেয়া অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে থানা পুলিশ।
আদালতের বিচারক গোলাম কবীরের নির্দেশে ২৭ জুন মামলাটি রেকর্ড করে থানা পুলিশ। আসামি রাসেল যশোর শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার নবীনুর ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
বাদী সদর উপজেলার চাদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রাসেল তাকে ছয়মাস ধরে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন সময় এবং বিভিন্নস্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে রাসেল। তাছাড়া বিভিন্ন সময় রাসেল তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
আমরা যেন আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। গৃহবধূ থেকে স্কুলের ছাত্রী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের হররোজের যে চিত্র তা তুলে ধরা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতে থেকে উত্তরণের পথ কি। এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় আমাদের সমাজ অসুস্থ হয়ে গেছে। এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। আমাদের সমাজের কোনো একটা জায়গায় রোগ হয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে গেছি আমরা সবাই।
বিভিন্ন সময় ধর্ষণ-হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন কম হয়নি। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই থামছে না এ অপরাধ। ধর্ষকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কেন এমনটি হচ্ছে তা সমাজ বিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। সরকার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস করে প্রশংসিত হয়েছে। এমন একটি কঠোর আইন দেশে জরুরী ছিলো। কিন্তু এখনো ধর্ষকরা নির্ভয়ে এই জঘন্য অপরাধটি একের পর এক করেই যাচ্ছে। অপরাধীরা যেন আষ্কারা পাচ্ছে। অপরাধ ঘটাতে দুর্বৃত্তরা সাহস পাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের মর্মযাতনা উপলব্ধি করে এই পাইকারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে আরো কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে চিন্তা সমাজ বিজ্ঞানী, সরকার, রাজনীতিক সমাজসেবী সবাইকে ভাবতে হবে। এভাবে কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না।
স্বাআলো/এস