ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার ঢালচর ও চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রবিবার (২৬ মে) এ দুইটি ইউনিয়নে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
জানা গেছে, সকালের দিকে জোয়ার এলে ওই এলাকার রাস্তাঘাট ও দোকানপাটসহ মানুষের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে কেউ কেউ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারলেও বেশি সংখক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়: কোন বিপদ সংকেতের কী মানে
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, সকালের জোয়ারে তার ইউনিয়নের সকল এলাকা ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে ইউনিয়নের গ্রাম পুলুশসহ ইউপি সদস্যদের মানুষের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের সিসিপিপি টিম লিডার শাহজাহান খোকন জানান, তার ইউনিয়নের চর পাতিলায় ৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেখানে প্রায় ৭-৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে তারা চর পাতিলায় যাচ্ছেন।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস, পাঁচ জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, সাগর মোহনার ঢালচর ও চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে।
স্বাআলো/এস