সম্পাদকীয়: কুরবানি ঈদের বাজারে দুর্বত্তরা যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্তরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু এরই মধ্যে যশোরের চৌগাছায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামসুল হক (৫৫) নামে এক সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মকধ্বজপুর গ্রামের বাসিন্দা। ১০ জুন চৌগাছা হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শামসুল হক সবজি ব্যবসায়ী। ৯ জুন নিজ বাড়ি থেকে বাঁধাকপি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যশোর আসেন এবং পরবর্তীতে সবজি বিক্রি করে যশোর-মহেশপুরের লোকাল বাসে ওঠেন। বিকাল আনুমানিক চারটার দিকে বাসটি চৌগাছা শহরের পুড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে সকল যাত্রী সেখানে নেমে যায়।
পরবর্তীতে বাসের হেলপার শামসুলকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাস কাউন্টারের লোকদেরকে জানান। বাস কাউন্টারের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। পরে তার কিছুটা জ্ঞান ফিরলে নাম পরিচয় শনাক্ত হয় এবং তার স্বজনরা হাসপাতালে আসেন। চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জুন তার মৃত্যু হয়। গ্রামীণ প্রবাদে আছে ‘তুমি ডালে ডালে, আমি পাতায় পাতায়।
দুর্বত্তরা অনেকটা সে রকম। যে বিষয়ে যত কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সে বিষয়ে দুর্বৃত্তরা শত পথ বের করে তাদের কাজ তারা করেই যাচ্ছে। সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে ও মাদক নিয়ন্ত্রনে জিরো টরারেন্স নীতি গ্রহণ করা হলেও থেমে নেই। দুর্বৃত্তদের তৎপরতা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রায় এসব অপকর্মে জড়িতদের আটক করছে। কিন্তু তারা বেপরোয়া। ঈদের বাজারে যাতে তারা মানুষের স্বস্তির কেনা-কাটা, চলাফেরা করতে না পারে সেজন্য সময় থাকতে সতর্ক হলেও ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বন্ধ হয়নি।
মহেশপুরের শামসুল হক তাদের শিকারে পরিণত হয়ে টাকা-পয়সাতো হারিয়েছেনই তার পর তার জীবনটাও হারিয়ে গেল। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কি হতে পারে? আর যেন কোন শামসুল হককে এভাবে জীবন হারাতে না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
স্বাআলো/এস/বি