টিকটকে পরিচয় থেকে বিয়ে, নামাজে যাচ্ছি বলে উধাও স্বামী

টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম, অতঃপর চট্টগ্রামে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন পরই নববধূর কাছ থেকে পালিয়ে যান স্বামী। নিরুপায় হয়ে স্বামীর সন্ধানে তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারে এসে উপস্থিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ওই তরুণী।

সোমবার (২১ এপ্রিল) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কাটারাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের আশ্রয়ে রয়েছেন।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তিনি পরিবারের সাথে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। গত জানুয়ারি মাসে টিকটকের মাধ্যমে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আপ্তাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২১) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ এপ্রিল ওয়াকিব চট্টগ্রামে তরুণীর কাছে যান। এরপর ৬ এপ্রিল তারা চট্টগ্রাম সদরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

তমাকে পাশে নিয়ে কেক কাটলেন রাফী, বিয়ে-সংসারের গুঞ্জন

বিয়ের পর ওয়াকিব তরুণীর পরিবারের সঙ্গেই চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল, নামাজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি ওয়াকিব। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও তখন থেকে বন্ধ পাওয়া যায়।

কোনো উপায় না দেখে সোমবার স্বামীর খোঁজে মৌলভীবাজারের কাটারাই গ্রামে চলে আসেন ওই তরুণী। স্থানীয়দের সহায়তায় ওয়াকিবের বাড়ি খুঁজে পেলেও স্বামীর দেখা পাননি তিনি। তরুণীর অভিযোগ, ওয়াকিবের পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি এবং তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, তার স্বামীকে পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী কোনো বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে। এমতাবস্থায় তিনি স্থানীয় খলিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরীর শরণাপন্ন হন এবং বর্তমানে তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

জীবন বাঁচাতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলাম: পপি

ওয়াকিবের বাবা আপ্তাব আলী জানান, তার ছেলে ব্যবসার টাকা নয়ছয় করে গত ঈদের আগেই বাড়ি থেকে চলে গেছে। ছেলে বর্তমানে কোথায় আছে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।

খলিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বামীর খোঁজে আসা এক তরুণী আমার বাড়িতে রয়েছেন। আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।

এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া বিয়ের বৈধতা এবং তরুণীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভুক্তভোগী তরুণী তার স্বামীকে ফিরে পেতে এবং এই বিয়ের স্বীকৃতি আদায়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

স্বাআলো/এস