সরকার মানুষের অধিকার রক্ষায় সজাগ রয়েছে। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও করেনের আর এক ধাপে ৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওকরণ তার প্রমাণ। এবার যশোরের শার্শা উপজেলার শাড়াতলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ড. মশিউর রহমান মহিলা কলেজসহ সারাদেশের ৯১টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব জহিরুল ইসলামের স্বাক্ষর করা পৃথক পাঁচটি অর্ডারে এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়।
মানুষ গড়ার কারিগর, যাদের ওপর নির্ভর করে আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ তাদের কথা সব সময় সরকারের ভাবনায় ছিল। এ সরকার শিক্ষা বান্ধব দাবি করে। আর দফায় দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে এ কথাটাকে সত্য বলে প্রমাণ করলো।
নন-এমপিও শিক্ষকদের জীবন চিত্র বড়ই করুণ। সরকারি বিধি অনুযায়ী নিয়োগ নিয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করেছেন। বলতে দ্বিধা নেই যাদের মা-বাবা বেঁচে আছেন এসব শিক্ষকরা পরিণত বয়সেও সেই সব মা-বাবার কাঁধের বোঝা হয়ে আছেন। মা-বাবার সেবা করা তো দূরের কথা উল্টো শিশু সন্তানটির মতো তাদের কাছে হাত পেতে চলতে হচ্ছে। একান্নভুক্ত সংসারে অন্য ভাইদের গলগ্রহ হয়ে অযোগ্য অপদার্থ গালি নিয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। ইতোমধ্যে যারা বিয়ে-শাদি করেছেন তারা হারিয়েছেন দাম্পত্য শান্তি। অন্য কোথাও চাকরিতে যাবেন সে পথও বন্ধ। কারণ এমপিওর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে চাকরির বয়সটা পার হয়ে গেছে তা তারা টের পাননি।
নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শ্রম দিচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে লেখাপড়া শিখে অনেক ছাত্র-ছাত্রী জীবনের উচ্চ শেখরে পৌঁছে গেছে অথচ এই শিক্ষকরা পড়ে থাকবেন সেই আস্তাকুড়ে। এ সব শিক্ষকরা যদি কর্মজীবনের শুরুতে অন্য পেশায় যেতেন তাহলে তারা একটা সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছাতে পারতেন। তারা শিক্ষকতার পেশা নিয়েছেন বলে কোনো অপরাধ বা ভুল করেননি।
প্রধানমন্ত্রী মানবতার উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। তিনি এখন মাতৃ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। জাতির যুব সমাজকে আপন সন্তানের দৃষ্টিতে নিয়ে তাদের বেঁচে থাকার পথ ধরিয়ে দিচ্ছেন। বঞ্চনা বৈষম্যের কারণে হতাশার অন্ধকারে তাদের আর ডুবে থাকতে হবে না।