ঢাকা অফিস: পেঁয়াজ উৎপাদনের ভরা মৌসুম চললেও বাজারে দামে যেনো আগুন লেগেছে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০-৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, অর্থাৎ দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মৌসুমের এই সময়ে হঠাৎ দামের এমন উল্লম্ফন সাধারণ ভোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
অভিযোগ উঠেছে, একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সূত্র বলছে, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি পেঁয়াজ কেনা মধ্যস্বত্বভোগীদের একটি অংশ বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ না করে অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুত করছে। তারা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে এই অস্থিরতা তৈরি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা সরকারকে এই বার্তা দিতে চাইছে যে, ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজানের পর থেকেই এই চক্রটি ধাপে ধাপে দাম বাড়াতে শুরু করে এবং এখন তা দ্বিগুণে নিয়ে গেছে। আরও উদ্বেগজনক তথ্য হলো, এই সিন্ডিকেট আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকারও বেশিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বাজারকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এবং রমজানের মতো স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনতে বাজার বিশ্লেষকরা সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে যে কৌশল অবলম্বন করেছিল, তা এখনই আবার প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
পাশাপাশি, গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে পর্দার আড়াল থেকে কারা বাজার অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে, সেইসব মজুতদার ও সিন্ডিকেট সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
স্বাআলো/এস