ঢাকা অফিস: পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এই অনুষ্ঠান আয়োজনে যে ব্যয় হবে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়ে সাশ্রয় ১৫০০ কোটি টাকা: সেতুমন্ত্রী
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠানের বাজেট কত, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, বাজেট পাঁচ কোটি টাকার ওপরে। পাঁচ কোটি টাকার কম হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অনুমোদন করতে পারেন। খরচ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত খরচ বলা সম্ভব না।
তিনি বলেন, গত দুই বছরে পদ্মা সেতু দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে যান চলাচল করেছে প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পদ্মা সেতুতে ১৩ দিনে ৪২ কোটি টাকা টোল আদায়
সচিব বলেন, আমরা সবাই জানি ২০২২ সালের ২৫ জুন আমাদের গর্বের, অহংকারের পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। এই সমাপ্তি উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছিলো সেখানেই সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
পদ্মা সেতুতে দৈনিক আয় সোয়া ২ কোটি টাকা
তিনি আরো বলেন, এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে যে কার্যক্রমগুলো নেয়া হবে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে তা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমাদের সময় কম, সে কারণে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে না। সে জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাজটি করার জন্য বিষয়টি এখানে উত্থাপন করা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভা কমিটি সেটি অনুমোদন দিয়েছে।
স্বাআলো/এস