পুলিশ, বিজিবি ও আনসারে আসছে বড় নিয়োগ

ঢাকা অফিস: পুলিশ রিফর্মের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে কমিটি কাজ করছে। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে সরকার। এর বাইরেও পুলিশ, বিজিবি ও আনসারে আসছে বড় নিয়োগ। কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে।
আজকালের মধ্যে এসআই নিয়োগেরও বিজ্ঞপ্তি যাবে। আনসার ও বিজিবিতেও নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করছে সরকার।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় শেষে পুলিশ রিফর্ম নিয়ে করা এক প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা জানান।
বেলা ১১টায় শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা দুপুর ১টায় শেষ হয়। পরে ব্রিফ করেন দুই উপদেষ্টা। ব্রিফিংয়ের শুরুতেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বৈঠকের আলোচ্য বিষয়াদি ও সিদ্ধান্তের তথ্য জানান। শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শ্রমিকদের অস্থিরতা নিয়ে সরকারের নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ রিফর্মের কাজ চলছে। এজন্য কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তারা একটি রিপোর্ট করবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এখনো দায়িত্বে যোগ দেয়নি, তারা এখন আর পুলিশ নেই। তারা আমাদের কাছে অপরাধী।
তিনি বলেন, পুলিশে নতুন নিয়োগ শুরু করেছি। কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আজকালের মধ্যে এসআই নিয়োগেরও বিজ্ঞপ্তি যাবে। আমরা আনসার ও বিজিবিতেও নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করছি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পূজা যেনো নির্বিঘ্নে হতে পারে, সে জন্য আমাদের যত পদক্ষেপ প্রয়োজন সব পদক্ষেপই নেবো। আমরা আশা করি, অতীতের চেয়ে এবারেই ভালো পূজা হবে। এই জন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা আমাদের দরকার।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো বলবো না। তবে সন্তোষজনক। এটাকে কীভাবে আরো ভালো করা যায় উপদেষ্টা কমিটির সভায় আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করবো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে উন্নতির দিকে যাবে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করি।
মাদকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদক কিন্তু আমাদের সমাজের জন্য বিরাট অভিশাপ। এটা থেকে আমরা কীভাবে মুক্তি পাবো, সেজন্য আপনাদেরও সহযোগিতা দরকার। মাদক আসছে, এটা ধরা হচ্ছে। আমরা শুধু বহনকারীদের ধরলে হবে না, গডফাদারদেরও ধরতে হবে। গডফাদারদের না ধরলে কিন্তু মাদক বন্ধ করা মুশকিল। অনেক সময় দেখা যায়, গডফাদাররা ধরা পড়লেও তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যায়। তারা যেনো বিচারের আওতায় আসে এবং উপযুক্ত শাস্তি হয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মাজার দরগায় কীভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। গার্মেন্টস এ অস্থিরতা নিয়েও বিশদ আলোচনা হয়েছে। এর বাইরেও সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা যেনো ছাড়া না পায় সে ব্যাপারেও কথা হয়েছে।
স্বাআলো/এস