আজীবন আমার ঘৃণায় তোমাকে বাঁচতে হবে, শরিফুল রাজের উদ্দেশে পরীমণি

ঢালিউডের আলোচিত দুই তারকা পরীমণি ও শরিফুল রাজের ডিভোর্স হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। সন্তান জন্মলাভের এক বছর পরই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। সংসার ভাঙনের পর সন্তানকে নিজের কাছেই রেখে দেন পরীমণি। ছেলের দেখভালের দায়িত্বও নিজ হাতে তুলে নেন তিনি। অন্যদিকে রাজ ব্যস্ত হয়ে পড়েন তার অভিনয় জীবন নিয়ে।

বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে পরী জানিয়েছেন, বাবা হিসেবে সন্তানের প্রতি কোনো দায়িত্বই পালন করেননি শরিফুল রাজ। সবটা তার নিজেরই সামলাতে হয়েছে। বিশেষ কোনো দিনেও পূণ্যের পাশে দেখা মেলেনি বাবা রাজের। যেসব ঘটনা নিয়ে আক্ষেপও শোনা গেছে পরীর কণ্ঠে। একইসঙ্গে ক্ষোভও ছিল প্রাক্তন স্বামীর প্রতি।

এসবের মাঝেই মাসখানেক আগে এক ভিডিওতে বাবা শরিফুল রাজের সঙ্গে দেখা যায় পূণ্যকে। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন বাবা-ছেলে। সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন নায়ক।

সেই ভিডিও প্রকাশের মাসখানেক পর আবারো পরীমণির নিশানায় শরিফুল রাজ। এবার প্রাক্তনকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন তিনি। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এই নায়ককে উদ্দেশ্য করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী।

যেখানে পরী লেখেন, রাত জাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না। আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতো।

অভিনেত্রী এরপর লিখলেন, তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেয়া যায় না..জাস্ট ট্রাস্ট মি! রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেইসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ‍্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না?

‘কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সাথে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না।’

এরপর শরিফুল রাজকে উদ্দেশ্য করে পরী বলেন, একবার ভাবো তো, দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না। ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে….।

পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নাই। অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা। ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমাকে বুঝ দেয়ার মতো তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর।

প্রাক্তনের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে পরীমণি লিখেছেন, আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো বেঁচেই যেতা। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি? কিছু ঘেন্না (ঘৃণা) খোলাই হয়।

স্বাআলো/এস

Share post:

Subscribe

Popular

আপনার জন্য
Related

বিদ্যমান সংবিধানে বর্তমান সরকার অবৈধ : ফরহাদ মজহার

লেখক ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘এই গণঅভ্যুত্থান আমাদের...

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ছাড়া মিয়ানমারে শান্তি সম্ভব নয়

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে কখনোই স্থায়ী শান্তি...

১ মে থেকে সারাদেশে ডিম-মুরগির খামার বন্ধ ঘোষণা

ঢাকা অফিস: লাগাতার লোকসানের মুখে এবং পোল্ট্রি খাতে সিন্ডিকেট...

 ঘুষ চাওয়ায় খুলনা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের হানা, ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার

খুলনা অফিস: খুলনা সদর সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের...