প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সারাদেশের মতো দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খুচরা সবজি বর্তমানে বেশির ভাগ চালের চেয়ে আলু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বিশেষ করে মোটা ও মাঝারি ধরনের চালের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে নতুন ও পুরোনো আলুর দাম। ক্ষেত্র বিশেষে সরু চালের দামকেও অতিক্রম করেছে আলু। দাম বৃদ্ধির কারণে এখন অনেক ক্রেতা আলু কিনতে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছেন।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বীরগঞ্জে দেখা গেছে, পুরাতন আলু ৭০ টাকায় এবং নতুন আলু ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত কয়েক সপ্তাহের দামের তুলনায় অনেক বেশি। পাড়া-মহল্লার বাজারে এই দাম আরো ৫/১০ টাকা বেশি হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ আগে প্রকার ভেদে আলুর দাম ছিলো ৪০-৫৫ টাকার মধ্যে। সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, কারণ সবজি ও আলুর মূল্য এমন ভাবে বেড়েছে যে, তাদের পক্ষে কেনাকাটা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাটের বিভিন্ন সবজির দোকানে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, পিয়াজ ১৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, শসা ৫০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৪০ টাকা, এবং পুঁইশাক আটি প্রতি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, দেশের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের প্রভাব এখনো কাটেনি। একটি মহল এখনও তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। সাধারণ মানুষ এখন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে বেশ হতাশ। বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম এখন আলুর চেয়েও কম, অথচ আলুর দাম বেড়ে গেছে, ফলে গরিবের পাতে এখন প্রায়শই আলু উঠছে না।
কবিরাজহাট বাজারের সবজি ক্রেতা কামরুজ্জামান মিস্টার জানান, তিনি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালান। বাজারের যে অবস্থা, তাতে শীতের সবজি বাজারে নেই এবং আলুর দামও বেড়েছে। শীতকালীন সবজি এখনো আসেনি, যা সাধারণত শীতের আগে আসতে শুরু করে।
গোলাপগঞ্জ বাজারে সবজি কিনতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি কামলা দিয়ে সংসার চালান। তিনি বলেন, আগে ঘরে তরকারি না থাকলে অন্তত আলু ভর্তা করে ভাত খাওয়া যেতো, কিন্তু এখন সে উপায়ও নেই। আলুর দাম অনেক বেড়েছে, এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম তো আছেই।
স্বাআলো/এস