রমজান মাসে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষদের জন্য রোজা রাখা ফরজ। আল্লাহ তায়ালা রোজা রাখার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের সুযোগ দিয়েছেন। রোজা রাখার জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। যদিও রোজা রাখা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সহজ, তবে শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী এবং স্তন্যদানকারী মা-দের জন্য এটি ফরজ নয়।
এছাড়া যারা সফররত বা শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদের জন্যও রোজা রাখা প্রয়োজন নয়। এই সকল ব্যক্তিরা রমজানের পরে কাজা করতে পারবেন। তবে শিশুদের জন্য রোজা ফরজ না হলেও, অনেক সময় শিশুরা রমজানে আংশিক রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তোলে।
রোজা রেখে যদি কেউ ভুলে পানাহার করেন, তার রোজা ভাঙবে না। এরপর তাকে কোনো কাজা করতে হবে না, তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন পরবর্তীতে এমন ভুল না হয়। তবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙে বা পানাহার করে, তাকে কাজা করতে হবে এবং কাফফারা দিতে হবে।
রমজানে রোজা রাখার জন্য মুসলমানেরা সুবহে সাদিকের আগে সেহরিতে খাবার গ্রহণ করেন এবং সূর্যাস্তের সময় ইফতার করেন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে তারা চেষ্টা করেন, যাতে শারীরিক শক্তি বজায় থাকে। এই খাবারগুলো তাদের শারীরিক স্থিতি রক্ষা করতে সহায়ক হয়ে থাকে, এবং শক্তি ক্ষয়কারী কাজ থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে।
স্বাআলো/এস