বাগেরহাটের মোংলায় এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম টিটুকে (৩৫) শুক্রবার তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ।
উপজেলার চাদপাাঁই ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
ধর্ষক টিটু কানাইনগর এলাকার বাসিন্দা।
সাতক্ষীরায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গণধর্ষণ, টাকা ও সোনার গহনা লুট
মামলার বরাত দিয়ে মোংলা থানা পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী গত ১২ মার্চ থেকে উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় নুরুল আমিন নামের এক মালিকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ভাড়া নেয়ার পর থেকেই বাড়ির মালিকের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম টিটু ওই ভাড়াটিয়ার উপর খারাপ নজর পরে। প্রায়ই টিটু তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো বলে অভিযোগ করেণ ওই নারী। গত ১৫ মার্চ গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রথম ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে কিছু বলে দিলে হত্যাসহ প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেই থেকে প্রায় দুই মাস যাবৎ টিটু তাকে ভয়ভীতি দিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলো বলে জানায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী। সর্বশেষ গত (১৩ মে) রাতে ওই নারী ঘর থেকে বের হয়ে পাশের কলে পানি আনতে গেলে কৌশলে ওই নারীর ঘরে ঢুকে পালিয়ে থাকে শরিফুল ইসলাম টিটু। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে পুনরায় ঝাপটে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । এ সময় ওই নারী ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে ভর্তি করে। এক পর্যায়ে ওই নারী বাদি হয়ে শফিকুল ইসলাম টিটুকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত টিটুকে আটক করে মোংলা থানা পুলিশ।
শুক্রবার নির্যাতনের শিকার ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ধর্ষক শফিকুল ইসলাম টিটুকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় থানার ওসি আনিসুর রহমান।
স্বাআলো/এস
