ধর্ষকদের আর ছাড় নয়

সম্পাদকীয়: বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার পল্লীতে খাবার খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে চাচা কর্তৃক ভাতিজী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৫ জুন সকালে এ ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের মায়ের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ ওই বাড়ি পরিদর্শন করেছে। চালিতাবুনিয়া গ্রামের তালিম হাওলাদার বুধবার বাড়িতে একা পেয়ে তার সম্পর্কের ভাতিজীকে খাবার খাওয়ার কথা বলে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে।

ধর্ষকদের দমনে কঠোর আইন প্রণনয়ন করা হয়েছে। বিধান রাখা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। ইসলামে জেনাকারী নারী পুরুষের শাস্তির জন্য সঙ্গেসার আইন আছে। এই আইনে জেনা প্রমাণিত হলে জেনাকারীকে অর্ধেক মাটিতে পুতে পাথর ছুড়ে ছুড়ে হত্যা করা হয়। তৎকালীন সময়ে আরব জাতির নৈতিক চরিত্রের এমন স্খলন ঘটেছিলো যে ওই অবস্থা থেকে অধপতিতদের ঠোকতে মহান আল্লাহ এমন কঠোর আইনের নির্দেশ দেন। মহানবীর (স.) সংস্পর্শে বিপথগামী মানুষ সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে।

তাঁর আমলে কিন্তু কেবল ধর্মের বাণী দিয়ে মানুষকে সংশোধন হতে বলা হয়েনি। ধর্মের কথা যারা না শুনে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধটি করেছে তাদের কঠোর শাস্তির জন্য ওহি এসেছে। আমাদের দেশে কিছু মানুষরূপী পশুর আচরণ এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে তাদের দমনে এমন কঠোর আইন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

অবস্থা আজ যা তাতে আর কোনো ক্ষমার সুযোগ নেই। কিন্তু ধর্ষকরা আইনকে তোয়াক্কা না করে অপরাধটি করেই যাচ্ছে। শরণখোলায় ধর্ষিতা মেয়েটির যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুই দিয়ে পূরণ হবে না। আমরা তাই বলবো আইন যখন আছে তখন সেই আইনে ধর্ষকদের বেলায় কার্যকর করা হোক।

স্বাআলো/এস/বি