আইন আদালত

সাতক্ষীরায় পুলিশের উপর হামলা, ৭ আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ

| August 1, 2024

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় সাত আসামিকে দুইদিনের রিমান্ড শেষে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে বৃহষ্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

একইভাবে ৬ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহষ্পতিবার (১ আগস্ট) জেলা কারাগার থেকে সদর থানায় আনা হয়েছে।

রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের ইমরান হোসেন, একই গ্রামের কাজী সাকিব হাসান, সদর উপজেলার কাটিয়ার শাহরুখজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার চাকলা গ্রামের মঈনুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন একই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সাঈদুল ইসলামের ছেলে ফাহিম ও একই গ্রামের জাহিদ হোসেন।

জেলা কারাগার থেকে বৃহষ্পতিবার রিমান্ডে নিয়ে আসা আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছার তাসিন ফারহান নিলয়, পলাশপোলের মাহি রহমান, মাহমুদপুরের রাকিবুল ইসলাম, মধুমোল্লারডাঙির নাফিজুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার দেবী শহরের আসাদুল্লাহ ও একই উপজেলার হাদিপুরের অলিউর রহমান।

মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীরা গত ১৭ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরার করার সময় পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে দুই সহকারি উপপরিদর্শক ও এক সিপাহি জখম হন। এঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজ কিশোর পাল বাদী হয়ে পরদিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) মোল্লা আব্দুস সেলিম গত ১৯ জুলাই প্রত্যেককে আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

বিচারক জিয়ারুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাল্ল্যে গ্রামের আরমান হোসেন আপন, একই গ্রামের কাজী নূর সিয়াম ও একই উপজেলার তালতলা মাগুরা গ্রামের তানভির হোসেন নাবালক হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অপর ১৩ জনকে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৩০ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে আগামী ৩ আগস্ট দুপুর ১২টার মধ্যে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করার নির্দেশ দেয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) মোল্লা সেলিম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে সাত আসামিকে থানা পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। একইভাবে বাকী ছয় আসামিকে বৃহষ্পতিবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা কারাগার থেকে থানা পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আগামী শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

স্বাআলো/এস

Debu Mallick